New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/cats-143.jpg)
লক্ষ্মীর এই সাফল্যে তার মা সরিতা দেবী সব সময়ই পাশে থেকেছেন।
বাবার মৃত্যুর পর মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেছেন। দারিদ্রের সঙ্গে কঠিন লড়াই শেষে আজ পাহাড়প্রমাণ সাফল্য লক্ষ্মীর।
লক্ষ্মী যখন ছোট, তখন তার বাবা বিনোদ ঝা মারা যান। চার ভাইবোনের মধ্যে সেই ছিল সবার ছোট। বাবার মৃত্যুর পর মা সংসার চালাতে গ্রামের একাধিক বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। কিছুদিন এভাবেই পার হওয়ার পর বড় ভাই শ্যাম একটি বইয়ের দোকান খোলেন। লক্ষ্মী তার পড়াশোনা চালিয়ে যান।
জীবনে সফলতা পেতে হলে আবেগ থাকা দরকার। যদি একজন ব্যক্তির মধ্যে আবেগ ও জেদ থাকে তাহলে যে কোন বাঁধা সহজের জয় করতে পারবেন তিনি। মাত্র দুই ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের ৪হাজার মিটার চন্দ্রশিলা মন্দিরে সফলভাবে আরোহণ করে তেরঙ্গা উত্তোলন করেছেন তিনি। এই বছর লক্ষ্মী দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারোতেও তেরঙ্গা উত্তোলন করেছিলেন।
লক্ষ্মীর এই সাফল্যে তার মা সরিতা দেবী সব সময়ই পাশে থেকেছেন। লক্ষ্মী বলেছেন, মায়ের সহযোগিতা না পেলে এই যুদ্ধজয় কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। লক্ষ্মী আরও জানান যে তিনি ব্ল্যাক মাউন্টেনে আরোহণের পরিকল্পনা করছেন, যার উচ্চতা ৬.৫ হাজার মিটার। অন্যদিকে লক্ষ্মীর স্বপ্ন আগামী বছর মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের। যার জন্য তিনি প্রস্তুতিও শুরু করেছেন।