নারী দিবসে ভাইরাল নেহা কক্করের ছোট্ট একটা পোস্ট। যা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেট নাগরিকরা। তিনি একটি ঘরের ছবির সঙ্গে নিজের বর্তমানের বিলাসবহুল বাড়ির ছবি শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি ক্যাপশনে তাঁর কষ্ট করে বড়ো হওয়ার গল্প বলেছেন। যা মন কেড়েছে সোশাল মিডিয়ার।
বড়লোক বা কোনো তারকার বাড়িতে জন্ম হয়নি নেহার। অভাব অনটন, পেটে খিদে নিয়েই বড় হয়েছে সে। বন্ধুরা অনেকে হেয় করেছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অত্যন্ত সাদামাটা মেয়ে ছিলেন নেহা কক্কর। উত্তরপ্রদেশের ঋষিকেশ থেকে বলিউডে জনপ্রিয়তা, কী ভাবে ঘটল এই পরিবর্তন? সেই জার্নির কথা প্রকাশ্যে এনেছে নেহা নিজেই।
ঋষিকেশে একটা এক কামরার ঘরে ভাড়া থাকতেন নেহা বাবা-মা আর দুই ভাইবোন। ঘরেরই একটা কোণে একটা টেবিল রেখে তার উপর রান্না করতেন নেহার মা। নেহার বাবা শিঙাড়া বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তাঁর দিদি যে কলেজে পড়তেন, সেই কলেজের গেটে শিঙাড়া নিয়ে বসতেন তাঁদের বাবা। সংসারের অভাব অনটন এত বেশি ছিল যে ছোট বয়স থেকেই উপার্জন করতে শুরু করেন তাঁরা। সনু, নেহা আর টনি- তিন ভাইবোনই উৎসবের সময় মন্দিরে ভজন গাইতেন। প্রায় ৫০ টাকা করে উপার্জন করতে পারতেন। নেহা যখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ে তখন ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ২-এর বাছাই চলছিল। খবর পেয়ে নেহা একাই চলে যান অডিশনে। তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যান বিচারকেরা। সিজন ২-এর প্রতিযোগী হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপরই আসতে আসতে নিজের জায়গা করে নেয় বলিউডে। যে ঋষিকেশে ছোট এক কামরার ভাড়া বাড়িতে বড় হয়েছেন নেহা, আজ সেখানেই নিজের বিলাসবহুল বাংলো কিনেছেন।