সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের হয়ে লড়াইয়ে সামিল হতে চেয়ে আবেদন ৯৮ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই দেশের প্রতি অগাধ ভালবাসার প্রমাণ বারবার উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও;র মাধ্যমে। দেশকে রক্ষা করতে কীভাবে রুশ আগ্রাসনে মুখে অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন দেশের শিল্পী থেকে সাংসদ সকলেই।
তার মাঝেই দেশের প্রতি ভালবাসার এক কাহিনী ফের ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে ৯৮ বছর বয়সি, এক বৃদ্ধা নাম ওলহা টেরডোখলিবোভা যিনি এর আগে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন, এই বয়সে এসেও দেশের সংকটে হাতে তুলে নিতে চেয়েছেন আগ্নেয়াস্ত্র। যদিও বয়সের কারণে তার এই ইচ্ছাকে মান্যতা দিতে পারেনি ইউক্রেন প্রশাসন। ওলহা এই নিয়ে দুটি যুদ্ধ দেখছেন। তিনি বলেন, “দেশের হয়ে যে কোন সময়ে মৃত্যু বরণ করে নিতে আমি পিছপা নই”। ক্যাপশনে ইউক্রেনের মন্ত্রণালয়ের তরফে লেখা হয়েছে, “আমরা নিশ্চিত, খুব তাড়াতাড়ি আপনাকে যুদ্ধ জয়ের প্রশান্তি উপহার দিতে পারব”। এই টুইট ভাইরাল হতেই তাতে প্রায় ৪ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। সকলেই এই বৃদ্ধার এহেন উদ্যমের প্রশংসা করেছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনের সংকটের মুখে পড়ে প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন মানুষ আজ তাদের ঘড়বাড়ি হারিয়েছেন সেই সঙ্গে ৩.২ মিলিয়নের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। শুক্রবার এমনই তথ্য তুলে ধরল রাষ্ট্রসংঘ। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের তথ্য মতে মাত্র তিন সপ্তাহে এত বিপুল পরিমাণে মানুষের দেশ ছাড়ার ঘটনা রেকর্ড। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ যুদ্ধের কারণে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘ আরও দাবি করেছে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইউএনএইচসিআর, রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা, এদিন জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে গুরুতর শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি করেছে এই যুদ্ধ। ইউএনএইচসিআর শুক্রবার প্রকাশিত তার সর্বশেষ পরিসংখ্যানে উল্লেখ করেছে ৩.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে চলে গিয়েছেন।