Advertisment

বানরের দৌরাত্ম্য বন্ধে ভাল্লুক সেজে জমি পাহারায় কৃষক

বানর ও বুনো শুয়োরের দৌরাত্ম্যে জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি। সেই ক্ষতি এড়াতেই অভিনব এক পথ বের করে ফেলেন এই কৃষক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
‘Only in India’, A Man dresses as a bear to protect crops from monkey attacks

জমির ফসল বাঁচাতে আজব কায়দা কৃষকের।

জমির ফসল বাঁচাতে আজব কায়দা। ভালুকের মতো দেখতে পোশাক পরে জমিতে ঘুরছেন কৃষক। জমিতে বুনো শুয়োর ও বানরের দৌরাত্ম্য বন্ধে তেলেঙ্গনার কৃষকের তাক লাগানো এই বুদ্ধি তারিফ করার মতোই। তবে এতদিন তিনি নিজে ও তাঁর ছেলে এই কাজ করতেন। ভাল্লুকের পোশাক পরে জমি ঘুরতেন বাপ-ব্যাটা। তবে এবার এই কাজের জন্য রীতিমতো দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে এক ব্যক্তিকে জোগাড় করে ফেলেছেন এই কৃষক। বর্তমানে ওই ব্যক্তিই তেলেঙ্গনার ভাস্কর রেড্ডির জমি পাহারার কাজ করেন।

Advertisment

এক-দু'হাজার নয়, রীতিমতো ১০ হাজার টাকায় হায়দরাবাদের একটি সংস্থা থেকে ভাল্লুকের পোশাক কিনেছেন তেলেঙ্গনার সিদ্দিপেট জেলার কৃষক ভাস্কর রেড্ডি। বছরভর উদয়াস্ত পরিশ্রম করে জমিতে বাকি কৃষকদের মতো ভাস্করও ফসল ফলান। তবে সেই ফসল ওঠার আগেই জমিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বানর-বুনো শুয়োরের দল। প্রায়ই বুনো শুয়োর ও বানর জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট করে দেয়। গত কয়েক মাসে এভাবেই ফসল নষ্টের জেরে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ভাস্কর রেড্ডিকে।

জমির ফসল পোকামাকড় বা অন্য জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন কৃষকরা। তবে তেলেঙ্গনার ভাস্কর রে়ড্ডি জমির ফসল বাঁচাতে তাঁর বন্ধুদের টেক্কা দিয়েছেন অভিনব এক কায়দার মাধ্যমে। ভাল্লুকের পোশাক পরে নিজের জমিতে প্রথমে ঘোরাঘুরি শুরু করেন ভাস্কর নিজেই। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রেড্ডি এবং তাঁর ছেলে ভাল্লুকের পোশাক পরে মাঠের চারিদিকে ঘুরে বেড়িয়েছেন বেশ কয়েকদিন।

আরও পড়ুন- উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে কমছে AFSPA-আওতাধীন এলাকা, জানালেন অমিত শাহ

তবে বর্তমানে এই কাজের জন্য এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেছেন এই কৃষক। সংবাদসংস্থা এএনআইকে ভাস্কর রেড্ডি বলেছেন, ''এক ব্যক্তিকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক দিচ্ছি। আমার জমিতে জীব জন্তুদের দৌরাত্ম্য রুখতে ওই ব্যক্তি এই পোশাক পরে চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।''

এএনআইয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাস্কর রেড্ডি নামে ওই কৃষক হায়দরাবাদের এক পোশাক সরবরাহকারীর কাছ থেকে বিশেষ ওই ভাল্লুকের পোশাকটি কিনেছিলেন। পোশাকটি রেক্সিনের তৈরি হওয়ায় এটি গরমে পড়ে থাকা কষ্টকর। তবে এটি জীব জন্তুদের জমি থেকে দূরে রাখতে দারুণ কার্যকর।

উল্লেখ্য, জমির ফসল বাঁচাতে বা চাষের খরচ কমাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিত্য নতুন পদ্ধতির উপর নির্ভর করেন কৃষকরা। গত বছর, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সুশীল আগরওয়াল তাঁর বাড়িতে একটি সৌরচালিত চার চাকার গাড়ি তৈরি করেছিলেন। জমিতে চাষের কাজে জ্বালানির খরচ এড়াতেই ওই কৃষক গাড়িটি তৈরি করেছিলেন।

Read story in English

Telengana Farmer Paddy Procurement
Advertisment