New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/download-20.jpg)
‘কফি বিস্কুট’ই ভরসা’, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে উচ্ছ্বসিত এই বঙ্গ তনয়া
বিমানে উঠে পড়ুয়ারা এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল যে নিজেকে ঠিক রাখা মুশকিল ছিল। ছলছলে চোখে বলেন মহেশ্বতা।
‘কফি বিস্কুট’ই ভরসা’, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে উচ্ছ্বসিত এই বঙ্গ তনয়া
তিনি তখন ঘুমচ্ছিলেন। হটাৎ করে ফোন বেজে ওঠে মাথার পাশে। ওপাশ থেকে ভারী গলায় মেলে নির্দেশ। বলা হয়, দু’ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়ে বেরোতে হবে। গন্তব্য প্রথমে নয়াদিল্লি। তার পর ইস্তানবুল এবং তারও পর পোল্যান্ড।
ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারে ভারত সরকারের ‘অপারেশন গঙ্গা’ -র জন্য তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কলাকাত্র মেয়ে মহেশ্বতা। থাকেন নিউটাউনে। আদি বাড়ি অশোকনগরে। বছর ২৪ এর এই তরুণী একটি বেসরকারি সংস্থার পাইলট পদে কর্মরত।
কখনও ভাবেন নি ‘অপরেশন গঙ্গার’ অংশ হতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটা দেশে পাড়ি দিতে হবে। রোমাঞ্চ এবং গতি তাকে ছোট থেকেই টানে। তবে এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে তা তিনি ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি।
মহাশ্বেতার কথায়, ‘‘আমি যে কত বার গিয়েছি এবং এসেছি, তা গুনে দেখিনি। পড়ুয়াদের নিয়ে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি কিংবা রোমানিয়া থেকে ইন্তানবুল, সেখান থেকে দিল্লি। আবার একই ভাবে পোল্যান্ড উড়ে যাওয়া।’’উদ্ধারকার্যের স্মৃতি এখনও টাটকা তরুণীর মধ্যে। তার কথায়, “ কফি বিস্কুট খেয়ে টানা ১৫ঘন্টা বিমান চালিয়েছি। কখনও নুডলস খেয়ে পেট ভরাতে হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের এই কষ্টের কাছে আমার কষ্ট কখনই বড় হতে পারেনা”।
‘এই মিশনের অংশ হতে পেরে গর্বিত’। জানালেন মহেশ্বতা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা’। পড়ুয়ারা যে রাস্তা দিয়ে ইউক্রেন ছেড়ে এসেছেন, সেখানে কোনও খাবারদাবারের দোকান ছিল না। চার দিকে গুলি ছুটছে। সেই অবস্থায় মাইলের পর মাইল হেঁটে তাঁরা এসেছেন পোল্যান্ড’। বিমানে উঠেও ওঁদের বিশ্বাসই হচ্ছিল না, যে তাঁরা নিরাপদস্থানে চলে এসেছেন। দেশে ফেরার জন্য ওরা ব্যকুল হয়ে উঠেছিল। বিমানে উঠে পড়ুয়ারা এতটাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল যে নিজেকে ঠিক রাখা মুশকিল ছিল। ছলছলে চোখে বলেন মহেশ্বতা। তাঁর বিমানে চড়েই দেশে ফিরেছেন ৮০০ পড়ুয়া।