রবিবারই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডু-পোখরাগামী বিমান। মৃত্যু হয় ৬৮ জন যাত্রীর। ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে বিমানের ব্ল্যাক বক্স। বাকী চার যাত্রীর খোঁজে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। এসবের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যেটি বিমান দুর্ঘটনা ঠিক আগের মুহুর্তে বিমানে থাকা এক যাত্রীর তোলা। দুঃখজনক ঘটনার আগে চূড়ান্ত মুহূর্তগুলি রেকর্ড করেছিলেন তিনি। ভিডিও দেখেই হুঁশ উড়েছে নেটিজেনদের।
Advertisment
নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আগেও এক যাত্রী ভিডিও করে গেলেন, আর সেই ভয়াবহ দৃশ্যই তোলপাড় ফেলল বিশ্বে। বিমানের ভিতরে থাকা সহযাত্রীদের শেষ মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করেছেন তিনি। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বিমানে থাকা যাত্রীরা হাসি মুখে তাদের যাত্রা উপভোগ করছিলেন। পরক্ষণেই সেই দৃশ্য বদলে গেল কান্না-চিৎকারে। হঠাৎ এক ঝাঁকুনিতে মুহূর্তেই বদলে যায় সেই আনন্দের পরিবেশ। শেষে দেখা বিমানের ডানাতে আগুনের ঝলক।
ভাইরাল এই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিমানটি মাঝ আকাশেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি আছড়ে পড়ে মাটিতে। বিকট আওয়াজ করে মাটিতে আছড়ে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডু-পোখরাগামী বিমান। ভেঙে পড়া বিমানটি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানে ছিলেন পাঁচ ভারতীয় অভিষেক কুশওয়াহা (২৫), বিশাল শর্মা (২২), অনিল কুমার রাজভর (২৭), সোনু জয়সওয়াল (৩৫) এবং সঞ্জয় জয়সওয়াল (৩৫)। এর মধ্যে সোনু জয়সওয়াল উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা। এই পাঁচ ভারতীয়ের মধ্যে চারজন শুক্রবারই ভারত থেকে কাঠমান্ডু পৌঁছান। দক্ষিণ নেপালের সরলাহি জেলার বাসিন্দা অজয় কুমার শাহ বলেছেন, “বিমানটিতে থাকা চার ভারতীয় পোখারার লেক সিটিতে প্যারাগ্লাইডিং উপভোগ করার পরিকল্পনা করছিল।”
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেপালে বিমান দুর্ঘটনার মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, “নেপালের পোখরায় বিমান দুর্ঘটনা আমি গভীরভাবে দুঃখিত। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করি। একই সময়ে, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।