দিন কয়েক আগেই একটি খবর যা তোলপাড় ফেলেছিল দেশজুড়ে! প্রশ্ন উঠেছিল এমন হিংস্র কুকুর পোষা নিয়েও। উপযুক্ত ট্রেনিং ছাড়াই ভয়ঙ্কর পোষ্য পোষার পরিণতি যে কতটা নির্মম হতে পারে তা আমরা দেখেছি লখনউতে। ছেলের আদরের পোষ্য পিটবুল কামড়ে খুবলে খেল মাকে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার পিটবুলের আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে। এবার গুরগাঁওতে পিটবুলের আক্রমণে গুরুতর জখম এক মহিলা।
বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল লাইন এলাকায় কাজ করতে যাওয়া এক মহিলার ওপর পিছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি পিটবুল। পিটবুলের আক্রমণে মহিলার মাথা, মুখ এবং কোমরে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে মহিলার নাম মুন্নি। দিদি বিউটি ও জামাইবাবুর সঙ্গে যাওয়ার সময়েই পিটবুলের আক্রমণে মারাত্মক জখম হন তিনি। জানা গিয়েছে তিনি এরাজ্যের বাসিন্দা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে ঘটনার সময় কোন কারণে মালিকের হাতের চেন খুলে বেরিয়ে যাওয়াতেই ঘটে এই বিপত্তি। কিন্তু মুনির পরিবারের অভিযোগ, পিটবুল যখন তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন কার্যত হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন পোষ্যের মালিক।
মহিলাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানান হয়েছে মহিলার অবস্থা আশঙ্কা জনক। তার শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিক ওমপ্রকাশ যাদব বলেন, আহত মহিলা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে, যার কারণে ওনার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা যাচ্ছে ওই মহিলাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। পিটবুল মহিলার মাথা, কোমর এবং মুখে একাধিকবার আঘাত করে। ফলে মহিলার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পিটবুলের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে অত্যধিক রক্তক্ষরণের জেরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় লখনউয়ের সুশীলা দেবীর। এরপর অপর এক ঘটনা সামনে আসে যেখানে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায় ১৩ বছরের এক কিশোরের ওপর হামলে পড়ে বাড়ির পোষ্য পিটবুল। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন কিশোরের বাবা। এই ঘটনা দেখে কোন মতে হিংস্র পিটবুলের হাত থেকে নিজের সন্তানকে রক্ষা করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুদাসপুরের কোটলি ভান সিং গ্রামে। সেই ঘটনার পরই এই ধরণের কুকুর পোষার ক্ষেত্রে উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের দাবি তোলা হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঞ্জাবের শিশুর ওপর এই আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। অত্যন্ত হিংস্র বলে বিশ্বের অনেক দেশেই এই প্রজাতির কুকুর পোষা নিষিদ্ধ।