New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/12/yoghurt_759_getty.jpg)
একটি DNA পরীক্ষার খরচ NT$৩,০০০। অর্থাৎ ছটি DNA-এ টেস্ট করতে মোট খরচ NT$১৮,০০০। এ যে মশা মারতে কামান দাগা, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দই খেয়ে গিয়েছে কে? চোর ধরতে DNA-এ টেস্ট করালো তাইওয়ানের পুলিশ। সম্প্রতি এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তিনি জানান, কেউ তাঁর দুই ডলারের দই চুরি করে খেয়ে নিয়েছে। কাজেই চোর ধরে দিতে হবে এখনই।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই মহিলা থাকেন তাইপেই-তে। কিছুদিন আগেই পাঁচজন ছাত্রীকে নিজের বাড়ির কিছুটা অংশ ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই পাঁচজনই চাইনিজ কালচারাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। একদিন হঠাৎই মহিলা দেখেন রান্নাঘর থেকে উধাও তাঁর 'প্রানের দই'। আর সেই দই-এর পাত্র পড়ে রয়েছে জঞ্জালের জায়গায়। ওমনি রেগে কাঁই হয়ে যান মহিলা, ফেলে দেওয়া পাত্র হাতে দৌড় লাগান থানায়। সেখানে পুলিশকে তদন্তের জন্য অনুরোধ করলে পুলিশও এই অনুরোধ মেনে নিয়ে চোর ধরতে নামে আটঘাট বেঁধেই।
আরও পড়ুন: ‘বৈদিক’ বিবাহ পদ্ধতির উত্তরাধিকারী কে? বাকযুদ্ধে দুই মহিলা পুরোহিত গোষ্ঠী
দুর্ভাগ্যবশত, ওই পাত্রটি জলে ভিজে থাকার কারণে আঙুলের ছাপ উদ্ধার করা যায়নি। অবশেষে সেই পাত্র ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয় DNA টেস্টের জন্য। পরীক্ষার পর ওই মহিলার ডিএনএ সহ আরও পাঁচটি DNA উদ্ধার হয় ওই পাত্র থেকে। এবং অবশেষে ধরা পড়েন সেই পাঁচ চোরের দল।
স্থানীয় একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি DNA পরীক্ষার খরচ NT$৩,০০০ (৯৮ মার্কিন ডলার)। অর্থাৎ ছটি DNA-এ টেস্ট করতে মোট খরচ NT$১৮,০০০। কাজেই এ যে খানিকটা মশা মারতে কামান দাগার মতোই অবস্থা সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সে যাই হোক, এই পুরো খরচটাই কিন্তু বহন করেছে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, অর্থাৎ কর দাতাদের টাকা দিয়েই দই চোরকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বলেন, "এটা শুধুই টাকার অপচয়। আমি যদি পুলিশ হতাম এত টাকা দিয়ে DNA পরীক্ষা করানোর বদলে তাঁকে এক বোতল দই কিনে এনে দিতাম।"
Read the full story in English