পরিযায়ী শ্রমিকদের স্রোত উত্তরভারত জুড়ে। কঠিন সময়ে ঘরে ফেরার স্রোতে লাগাম নেই। অক্লান্ত পরিশ্রম করে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছেন শ্রমিকরা। সঙ্গে রয়েছে শিশু, স্ত্রীরাও।
লোকডাইন ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রমিকদের একের পর এক হৃদয়বিদারক ছবি প্রকাশ্যে আসছিল। কিছুদিন আগে লাগেজব্যাগের হাতলে শুইয়ে থাকা খুদেকে এক মায়ের টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য কাঁদিয়ে দিয়ে যায় সবাইকে। এর মধ্যেই কিছুটা ব্যতিক্রমী ভঙ্গিতে ধরা দিলেন ঝাঁসি থানার পুলিশরা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের এই খুদেদের খেলনা দিয়ে নজির সৃষ্টি করলেন পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ বর্ডারে ঝাঁসি থানার পুলিশের হাতে দেখা গেল খেলনা। শ্রমিকদের সঙ্গে থাকা শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে একে একে তুলে দেওয়া হচ্ছে খেলনা।
দীর্ঘ পথ বাবা-মার সঙ্গে পাড়ি দিচ্ছে ছোট ছোট শিশুরা। চোখে মুখে ক্লান্তি লেগেই রয়েছে। সেই ক্লান্ত, অবসন্ন শিশুদের পথশ্রম কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দিলেন পুলিশ কাকুরা। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশরা শিশু ও শ্রমিকদের হাতে মাস্ক ও খেলনা তুলে দিচ্ছেন।
এমন মন ভালো করে দেওয়া ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরেই তা নজর কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের। এমন ভিডিও শেয়ার করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন। তিনি পুলিশের এই মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। নিজের টুইটারে তিনি লিখেছেন, "ঝাঁসি থানার পুলিশদের কুর্নিশ। পরিযায়ী শ্রমিকদের ছোট ছোট শিশুদের খেলনা উপহার দিয়ে অমূল্য হাসি ফিরিয়ে দিয়েছি। এতে ছোটরা কিছুটা হলেও ৪৩ ডিগ্রির গরম ভুলে গিয়েছে। আমাদের পুলিশ কি দারুণ কীর্তিই না তৈরি করল!"
Kudos to @jhansipolice that brought precious smiles on the faces of little children of migrant workers to whom they gifted toys.
Tiny tots forgot the scorching heat of 43 degree Celsius. What a wonderful gesture by our police forces.Combining masks with toys for mother & child ! pic.twitter.com/hYEkQeLeYf— Dr Harsh Vardhan (@drharshvardhan) May 24, 2020
@jhansipolice and team winning hearts
— Parshv Agarwal (prankit) (@ParshvAgarwal) May 25, 2020
That's why I always say #TogetherWeRise ????????✨????????
— Ali Abbas Sultan Ahmed (@aliabbasahmed) May 24, 2020
Kudos to @jhansipolice !
వలస శ్రామికుల పిల్లలకు ఆట బొమ్మలు అందించిన @jhansipolice. 43 డిగ్రీల మండే ఎండను మర్చిపోయి, ఆ చిన్నారుల మోహంలో ఆనందం కనిపించింది. తల్లులకు ఫేస్ మాస్కులు కూడా అందించారు. https://t.co/udmch5L5X8
— Arvind Dharmapuri (@Arvindharmapuri) May 24, 2020
Great gesture
— Sandeep Mishra (@The_Modi_Bhakt) May 24, 2020
Joy is in small things..and gesture..
Appreciate gesture by police..
Definitely people need some comfort.. Psychologically people need some encouragement @mafoikprajan @chennaipolice_— Ravi Bala (@RavigBala) May 24, 2020
কিছুদিন আগেই একজন সাংবাদিক নিজের পায়ের জুতো খুলে দান করেছিলেন এক শ্রমিককে। সেই ভিডিও তুমুল প্রশংসিত হয়েছিল।