গতকালই সামনে এসেছে সানিয়া মির্জার কাহিনী। দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা হিসাবে যুদ্ধবিমান চালক হতে চলেছেন সানিয়া। আজকালকার দিনে মেয়েরাও ছেলেদের চেয়ে কোন দিক থেকেই পিছিয়ে থাকেনা। বালাঘাট জেলার একটি ছোট্ট গ্রাম লিঙ্গার বাসিন্দা পুনম মেশরাম এই কথাটিকেই আরও একবার সত্যি বলে প্রমাণ করছেন। তিনি একটি অটো চালিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার উপার্জনে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে পরিবার। পুনমের বাবার একটি নিজস্ব অটো রয়েছে, সেটা চালিয়ে যা উপার্জন করছেন তা দিয়েই চলছে সংসার। সংসারের হাল ধরতে মহিলা অটোচালকের এই কাহিনী এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পুনম তার বাবার এই কষ্ট ‘অনুভব’ করে এবং পড়াশুনার পাশাপাশি ‘পার্ট টাইম’ অটো চালানো শুরু করেন, যাতে সে আরও বেশি পড়াশুনা করতে পারেন এবং অটো চালিয়ে নিজের হাতখরচাও চালিয়ে নিতে পারেন। এর পাশাপাশি পরিবারের জন্যও কিছু অতিরিক্ত উপর্জনের সন্ধান করতে পারেন। পুনম দ্বাদশ শ্রেণি পাস করেছে। এর পাশাপাশি তিনি কম্পিউটার ও ট্যালিও শিখেছেন। এখন কলেজে পড়াশুনা করছে পুনম।
লকডাউনের কারণে, সমস্যার মুখে পড়তে হয় পরিবারকে। একমাত্র উপার্জনকারী বাবার পক্ষে একা অটো চালিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছিল না, পাশাপাশি বাবার বয়স হচ্ছে একটানা বেশি সময় ধরে অটো তিনি চালাতেও পারেন না। সে কারণেই বাবার অটো নিজেই চালাতে শুরু করেন পুনম। অটো চালানোর পাশাপাশি পড়াশোনাও করে। পুনম জানান, শুধু মহিলারাই নয়, পুরুষরাও তার অটোতে যাতায়াত করেন। সবাই তার এহেন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন । পুনম জানান, তার ৫ বোন রয়েছে এবং তারাও লেখাপড়া করছে।
পুনমের বাবা সতীশ মেশরাম বলেন, করোনার কারণে লকডাউন জারি করা হয় যার কারণে অটো চালানো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং আর্থিক অবস্থা তলানিতে ঠেকে। আমার মেয়ে পুনম আমার সঙ্গে অটো চালাতে শুরু করে লকডাউন মিটে যাওয়ার পর এবং সে তার পড়াশুনাও চালিয়ে যায়, যার ফলে আয় কিছুটা বাড়তে থাকে এবং পরিবারের অবস্থারও উন্নতি হতে থাকে।