Advertisment

Youtube সবথেকে পজিটিভ জায়গা সায়ন্তনীর কাছে? চার বছরে কী কী শিখলেন PotaTo?

সোশ্যাল দুনিয়ার নানান দিক নিয়ে সরব PotaTo, কী বলছেন তিনি?

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
potato, youtuber potato, digital creator

PotaTo সায়ন্তনি পাল- এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

বছর ২১ এর এক ক্রিয়েটর, যার মধ্যে বিন্দুমাত্র কোনও নেতিবাচক মনোভাব নেই। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও দারুণ রেসপন্স পেয়ে এসেছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে একান্ত আড্ডায় potato অর্থাৎ সায়ন্তনী। স্বভাবে একটু ভীতু হলেও নিজের অতি সাধারণ ভাবটাকে সবসময় কায়েম রাখে সে। তবে, ডিজিটাল দুনিয়ার গেম নিয়ে কতটা তৈরি, জানালেন সেই কথাই।

Advertisment

All set সায়ন্তনী?

একটু ভয় লাগছে জানো তো! কি যে বলে ফেলব কে জানে! ( হাসি )

Potato কেন? অন্য কিছু মাথায় আসে নি?

না, আসলে আমার বন্ধুরা আমায় স্কুলে আলু বলে ডাকত। তাই আমার মনে হয়েছিল যে ওরা বুঝতে পারবে এটা সায়ন্তনীর চ্যানেল সেই কারণেই। তবে পরে, আমার একজন সিনিয়র আমায় বলেছিল যে আলু কেন? তার কি এটাই কারণ যে আলু সবার সঙ্গে মিশে যেতে পারে? আমি দেখলাম হ্যাঁ এটাও তো সত্যি! ব্যাস!

আলু নিয়ে একটা ভিডিও এসেছিল তোমার, তারপর থেকেই কি খ্যাতি?

না, ওটা তো আমি এমনিই করতাম। কোনও কারণ ছাড়াই। মানুষজন ভালবাসত। তবে এই ক্যারেকটার ভিডিও করাটাই আসল লক্ষ্য ছিল, এখন আর করি না ওসব। ( হাসি )

potato, youtuber potato, digital creator
PotaTo সায়ন্তনি পাল- এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

একটা ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল বার্তা থাকা দরকার?

সবসময় কিন্তু আমাদের কাছে সোশ্যাল ম্যাসেজ থাকে না। কি করব বল! হ্যাঁ, চেষ্টা করি। আমার ভিডিও দেখতে এসে লোকজন কিছু একটা নিয়ে যাবে এটা অবশ্যই দরকার। কিন্তু সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। তবে থাকা দরকার।

স্কেচ সোজা নাকি ক্যামেরার সামনে বসে একটা টপিক নিয়ে কিছু বলতে থাকা?

ক্যমেরার সামনে বসে কিছু বলতে থাকাটা সত্যিই সোজা। তাঁর কারণ ওটায় এক্সপ্রেশন খুব কম থাকে। কিন্তু হ্যাঁ, বিভিন্ন সাজে সেজে একটা চরিত্র ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা থাকা দরকার।

Potato এর সিম্পলিসিটি, এটা কি ইউএসপি?

ইউএসপি কিনা জানি না। তবে, এটা খুব স্বাভাবিক আচরণ। আমি দেখেছি আমার বাবা মা কিরকম করেন। এটা দেখে আমি বড় হয়েছি। তার বাইরে গিয়ে কিছুই করি না। এমন না যে নিজে থেকে কিছু অ্যাড করছি। যে আমার সামনে যেমন আমি তেমনই করি।

potato, youtuber potato, digital creator
PotaTo সায়ন্তনি পাল- এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

কোনওদিন কেউ বলেছে তুমি ওভার অ্যাক্টিং কর?

না, এখনও অবধি কেউ বলেনি। সত্যিই বলছি! বললে হয়তো বুঝতে পারতাম। সবাই ভালই বলছে।

বাবা মায়ের প্রতিক্রিয়া কি ছিল?

জানতই না! বরং ভাইকে আমি দেখিয়েছিলাম যে এসব ভিডিও বানিয়েছি। নিজের ফোন ছিল না। তারপর একদিন ভাই বাড়িতে সবাইকে দেখিয়ে দেয়, ব্যাস! আর কি! সবাই জেনে গেল তবে প্রায় একবছর পর।

অনেক ক্রিয়েটর স্ল্যাং ব্যবহার করে, তোমার কোনও মতামত?

বেশিরভাগই করে, আমার হাতে সুযোগ থাকলে স্ট্রাইক মেরে দিতাম ( হাসি )। তবে, আমি করি না। আমার চ্যানেলে এসে লোকজন খারাপ মন্তব্য পাবে না। কিন্তু আমি তো কাউকে না করতে পারি না। তাঁর কারণ ওর ওটা থেকে ভিউজ আসছে। কিন্তু যখন কনটেন্ট সবার জন্য বানাচ্ছ, তখন একটু ভেবে চিনতে বানানো দরকার।

প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে? কনটেন্ট নিয়ে কি ভাবছ?

প্রতিযোগিতা বাড়লেও আমি কাউকে সেরকমভাবে মনে করি না। তাঁর একটা কারণ বলতে পারো আমি এদের সকলকে সফল দেখেছি। আর কনটেন্ট হ্যাঁ, সবাই যেটা করে সেটা করি না। চরিত্র গুলো তো আমার কাছেই থাকবে। সেটা তো কেউ নিতে পারবে না।

বিচুটি কাকিমা নাকি ঝুঁটি কোনটা বেশি পছন্দের?

বিচুটি কাকিমা, ওটা পুরো চমকানো। মানে গলাটা বদলে একটা যাচ্ছেতাই বিষয়। এরকম আছে আমার চারপাশে। আমি এদের দেখেই তো শিখি। উফ!

potato, youtuber potato, digital creator
PotaTo সায়ন্তনি পাল- এক্সপ্রেস ফটোঃ শশী ঘোষ

যখন শুরু করেছিলে প্ল্যানিং কি ছিল?

আমি কোনওদিন নেগেটিভ কিছু ভাবিই নি। কখনও মনে করি নি যে হবে না, আবার এমনও ভেবেছি নাও হতে পারে। তবে, থেমে থাকলে চলবে না। কিন্তু, হ্যাঁ আমায় একটু রেগুলার হতে হবে এই যা।

ট্রোল কীভাবে হ্যান্ডেল কর?

আজ অবধি আমায় কেউ ট্রোল করেনি তো! আমি শুনি নি কিছু। তাই হ্যান্ডেল করার দরকার পড়েনি। ইউটিউব আমার কাছে খুব পজিটিভ একটা জায়গা। এখানে মানুষজন আমায় খুব ভালবাসেন। আর আছে কিছু যারা খুঁত ধরতে আসে তাঁদের কোনও কাজ নেই।

viral youtuber
Advertisment