বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে,ম্যাকডোনাল্ডের একটি আউটলেটে কাজ করেন, বছর ১৯ এর এক যুবক। বাড়িতে দাদা আর হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ মা। সেনাবাহিনীতে যোগদানের অদম্য ইচ্ছা তাকে প্রতিদিন তাড়া করে বেড়ায়। সকালে দৌড়ানোর সময় হয় না। সকাল আটটার মধ্যে রান্না করতে হয় নিজের এবং দাদার জন্য। মা কঠিন অসুখে হাসপাতালে ভর্তি। সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব যে তারই কাধে। কিন্তু সেনাবাহিনীর চাকরি তাকে পেতেই হবে তাই তিনি রোজ রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার সময় ১০ কিলমিটার রাস্তা ছুটতে ছুটতে বাড়ি ফেরেন।
জানা গিয়েছে ছেলেটির নাম প্রদীপ মেহরা, থাকেন উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার। প্রতিদিনের মত সেদিনও সে কাজের শেষে রাস্তার পাশ দিয়ে ছুটতে ছুটতে বাড়ি ফিরছেন। হটাত করেই একজন রাস্তায় এভাবে একজনকে দৌড়াতে দেখে গাড়ি থামান সিনে পরিচালক বিনোদ কাপরি।
তিনি ভাবেন হয়ত কোন বিপদে পড়েছেন ছেলেটি, তাই ওভাবে দৌড়াচ্ছে। এই ভেবে তিনি ছেলেটিকে গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দিতে চান। তখন রাত ১২ টা। কিন্তু ছেলেটি লিফট নিতে অস্বীকার করেন। ছেলেটি তাকে জানান, "এটাই তার প্রতিদিনের রুটিন। এভাবেই রোজ সে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরেন"।
কারণ জানতে চাইলে ছেলেটি তাকে জানায়, "সেনাবাহিনীতে যোগদানই তার একমাত্র লক্ষ। তাই প্রতিদিন রাত্রে এভাবেই ছুটে বাড়ি ফেরেন তিনি। শারিরীক সক্ষমতার পরীক্ষায় যে পাশ করতেই হবে। সেই সঙ্গে ছেলেটি জানায়, সকালে দৌড়ানোর মত সময় নেই তার"।
সকালে রান্না করা, সংসার সামলানো, অসুস্থ মায়ের সেবা যত্ন করতে করতেই তার সব সময় চলে যায়। তাই রাতের এই সময়কেই বেছে নিতে হয় দৌড়ানোর জন্য। সব শুনে অবাক হন, সিনে পরিচালক বিনোদ কাপরি। তিনি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ঘটনার ভিডিও তুলে ধরেন। মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়। এই বয়সে জীবন সংগ্রামের এমন ঘটনা সামনে আসতেই অবাক নেটিজেনরা। সকলেই তার এই কসরতের জন্য প্রশংসা এবং আগামী দিনে তার সাফল্য কামনা করেছেন। কিশোরকে বিনোদ কাপরির প্রশ্ন, তুমি কি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিছু বার্তা দিতে চাও, উত্তরে হেসে বছর ১৯ এর এই কিশোর বলেন, "পরিশ্রম করুন, আপনার সকল আশা নিশ্চয় পুর্ণ হবে"।