দেশের মধ্যে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (UPSC) সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় সফল হতে অনেক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি নিষ্ঠার সঙ্গে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সাড়েন। কঠিন এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য চাই একদিকে যেমন দৃঢ় সংকল্প, ধৈর্য্য! অন্যদিকে প্রয়োজন হাল না ছাড়ার মানসিকতা সঙ্গে চাই অদম্য জেদ। এই সবের সম্মিলিত প্রয়াসই পরীক্ষায় সাফল্য এনে দিতে পারে।
অনেকেই জীবনে নানান প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়ে অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগান। IAS প্রাঞ্জল পাতিল তেমনই একজন। দৃষ্টিহীন হয়েও IAS হওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। অবশেষে সাফল্য পেয়ে বিরাট তৃপ্তি মন জয় করেছে সকলেই। তার এই অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী আজ আপনাদের সামনে।
জীবনের সকল বাধা অতিক্রম করে ভারতের প্রথম দৃষ্টিহীন IAS হয়ে সর্বকালের জন্য রেকর্ড তৈরি করেছেন প্রাঞ্জল পাতিল। তার অনুপ্রেরণামূলক সাফল্যের গল্প সংগ্রামে পরিপূর্ণ। আর এই সংগ্রামের মাধ্যমেই তিনি তার লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। প্রাঞ্জল ২০১৬ সালে প্রথমবার এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বার UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় অংশ নেন। ২০১৬ সালে, তার র্যাঙ্ক ছিল ৭৪৪, তারপরে তিনি পরের বছর দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেছিলেন এবং এবার তিনি ১২৪ তম সর্বভারতীয় স্থান অর্জন করেন।
প্রাঞ্জল কখনও আইএএস প্রস্তুতির জন্য কোনও কোচিং নেননি। তিনি একটি বিশেষ সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেছিলেন। চোখ না থাকা সত্ত্বেও শ্রবণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি কঠিন এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। প্রাঞ্জল পাটিল মহারাষ্ট্রের উলহাসনগরের বাসিন্দা। দুর্ভাগ্যবশত, শৈশবেই তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। তবে প্রাঞ্জল কখনও হাল ছাড়েননি। তিনি মুম্বইয়ের ব্লাইন্ড থেকে তার স্কুলিং শেষ করেন এবং তারপর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন।
পরে, তিনি তার পিএইচডি এবং এম.ফিল করার আগে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশানাল রিলেশন নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।২০১৭ সালে সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় ১২৪ তম স্থান অর্জন করার পরে তিনি কেরালার এর্নাকুলামে অতিরিক্ত জেলাশাসক পদে নিযুক্ত হন।