অনস্ক্রিনে গালাগালির বন্যা। গারদের আড়ালে একেবারেই ঠাণ্ডা, রোদ্দুর রায়। পুলিশের সামনে একেবারেই নিস্তেজ হয়ে গিয়েছেন রোদ্দুর রায়। এমনটাই দাবি করেছেন লালবাজারের তদন্তকারী অফিসাররা। লকআপে একেবারেই ‘লক্ষ্মী ছেলে’ তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়া-দাওয়া ঘুম সবই সাড়ছেন। তবে মাঝে মধ্যেই বিড়বিড় করে কী সব আওড়াচ্ছেন। আর তা ঠাহর করতে কালঘাম ছুটেছে দুঁদে অফিসারদের। রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মানহানি, অশালীন এবং বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা ছাড়াও, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ঘৃণা প্রদর্শন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর ডিডি বিল্ডিংয়ে রোদ্দুর রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার ভিডিও দেখানো হচ্ছে তাকে। জানতে চাওয়া হচ্ছে কেন এসব ভিডিও তিনি বানিয়েছেন, উত্তরে রোদ্দুর রায় জানাচ্ছেন “জয় মোক্সা।” কী এই মোক্সা? তা কোন ভাবেই বুঝতে পারছেন না দুঁদে অফিসাররা। তবে পুলিশের ওপর মহল মনে করছেন তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই এমন আজব কায়দা বেছে নিয়েছেন রোদ্দুর রায়।
আরও পড়ুন: ছেলে ছেলে দেখতে, Gay বলে তরুণীকে চরম হেনস্তা, কাঠগড়ায় শহরের অভিজাত ক্লাব
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তাঁর বেশ কিছু মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছিল। ফেসবুক লাইভে করা তাঁর সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রায়শই রোদ্দুর রায়কে ফেসবুক লাইভে এসে নানা বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো তথা সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ফেসবুক লাইভে এসে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করেছিলেন রোদ্দুর রায়। এরপরেই রোদ্দুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। জামিন অযোগ্য ধারাতেও মামলা হয় রোদ্দুরের বিরুদ্ধে। তদন্তে নামে পুলিশ। শেষমেশ গোয়া থেকে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল। ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে ১৪ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।