প্রচারের মাঝে আচমকা সাদামাটা সেলুনে ঢুঁ মারলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একেবারে ভিন্ন মেজাজে দেখা গেল কংগ্রেস নেতাকে। আর সেই ভিডিও ঝড়ের বেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রাস্তার ধারে একটি সেলুনে সটান ঢুকে পড়লেন কংগ্রেস নাতা। সেলুনে বসে তাকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায় নাপিতের সঙ্গে।
আচমকাই রাস্তার ধারে একটি সেলুনে ঢুকে পড়েন রাহুল গান্ধী। কেটে ফেলেন চুল-দাড়ি। এদিকে আচমকা কংগ্রেস নেতাকে হাতের সামনে পেয়ে বেজায় খুশি সেলুনর মালিক মিঠুন। চুল- দাড়ি কেটে নাপিতকে কত পারিশ্রমিক দেন কংগ্রেস নেতা? নিজের মুখেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি।
রায়বরেলিতে ভোট প্রচারের মাঝে চুল-দাড়ি কেটে ফেলার জন্য জন্য রাস্তার ধারে একটি সেলুনে পৌঁছে যান রাহুল গান্ধী। সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে কংগ্রেস নেতাকে সেলুনে বসে দাড়ি কেটে ফেলতে দেখা যায়।
রাহুল গান্ধী যখন সেলুনে প্রবেশ করেন, তখন সেলুনের মালিক মিঠুন তার দুজন হেল্পারের সঙ্গে সেলুনের ভিতর ছিলেন। এমন হেভিওয়েটের চুল-দাড়ি তাকে কাটতে হবে তা কোনদিনই ভাবেন নি তিনি। সেলুনে রাহুলকে নাপিতের সঙ্গে লেটেস্ট ফ্যাশন নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। রাহুলের দাড়ি কেটে ফেলার পর জন্য তাঁর সঙ্গে একটি একটি গ্রুপ ফটো তোলেন দোকানের কর্মীরা।
এই সময়ের মধ্যে সেলুনটি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। রাহুল যখন দাড়ি কামিয়ে বাইরে বেরোন তখন বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের মধ্যে একজন তাঁকে ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করলেন, তখন রাহুল কোনও উত্তর না দিয়ে পকেট থেকে একটি চকোলেট বের করে সেই যুবককে দেন।
রাহুল গান্ধীর মতো সেলিব্রিটির দাড়ি কেটে বেজায় উচ্ছ্বসিত মিঠুন। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর মতো একজন নেতা যে তার ছোট দোকানে আসবেন তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেন নি। পাশাপাশি মিঠুন বলেন, 'রাহুলের দাড়ি সেভ করার সময় খুব নার্ভাস ছিলাম'।
মিঠুন বলেন, 'গতকাল রাহুল গান্ধী হঠাৎ দোকানে আসেন। এত বড় নেতা দেখে আমি পুরো অবাক হয়ে যাই। তিনি আমার নাম জিজ্ঞাসা করেন। প্রায় আধ ঘণ্টা তিনি এখানে ছিলেন'। সেই সময় পরিবার, যোগ্যতা, আয় ইত্যাদি নানান বিষয়ে মিঠুনের সঙ্গে কথা হয় রাহুলের।
মিঠুন আরও বলেন, 'আমার সঙ্গে ভোট নিয়ে কোন আলোচনা করেননি তিনি। যখন থেকে মানুষ জানতে পেরেছে যে রাহুল গান্ধী আমার সেলুনে এসেছেন, আমার সেলুনে ভিড় বেড়েছে;। চুল-দাড়ি কেটে দেওয়ার জন্য কত টাকা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা? মিঠুন হেসে এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং বলেন যে তিনি বিষয়টি গোপন রাখতে চান।
এদিকে ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি ভিউ পেয়েছে এবং দু হাজারেরও বেশি মানুষ এই ছবিটি লাইক করেছেন। অনেকেই এই নিয়ে নানান মন্তব্য করছেন। অনেককে তার প্রশংসা করতে দেখা গেলেও কেউ কেউ বলছেন, এটা মানুষের সহানুভূতি আদায় করার একটা উপায় মাত্র।