সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কিছু আবেগঘন ভাইরাল ভিডিও আমাদের চোখে জল এনে দেয়। কখনও কখনও আমাদের মনে গভীর দাগ কেটে যায় কিছু মানুষের কঠিন লড়াইয়ের কাহিনী। এমনই এক ব্যক্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। যাতে তাকে তাঁর শৈশবের দিনের কথা বলতে শোনা যায়। শৈশবে বাড়ির দায়িত্ব নেওয়ায় কীভাবে তার নিজের জীবন শেষ হয়ে গিয়েছে সেই কাহিনী বলতে শোনা যায় তাকে। যা নেটিজেনদের চোখে জল এনেছে।
Advertisment
শৈশবের দিনগুলি চাইলেও আর কখনই ফিরে আসে না। এই দিনগুলি প্রতিটি মানুষের জীবনে বড়ই মূল্যবান। অনেকের কাছে শৈশব মধুর হলেও অনেকের কাছে তা আবার কষ্ট-যন্ত্রণার। অনেকেই আছেন যারা সংসারের দায়িত্ব অল্প বয়সেই কাঁধে তুলে নেন । যার কারণে তারা নিজেদের জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য হাসিমুখে বিসর্জন দিতেও ২ বার ভাবেন না। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে একজন ইটভাটার শ্রমিককে তার শৈশবের যন্ত্রণার কথা বলতে শোনা গিয়েছে।
এই ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে তিনি তার শৈশবের যন্ত্রণার কাহিনী সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি বলছেন, মাত্র ৯-১০ বছর বয়সে তিনি ইট তৈরি শেখা এবং তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এই কাজ করে চলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শৈশবে কীভাবে সারাদিন ইট তৈরি করে ক্লান্ত হয়ে রাতে ঘুমাতেন, পরের দিন কাজে যাওয়ার জন্য তার মা তাকে রাত ২টোয় ঘুম থেকে জাগিয়ে দিতেন। ঘুম চোখেই কাকাভোরে তিনি বেরিয়ে পড়তেন ইটভাটার উদ্দেশ্যে। অনেক সময় ইটভাটায় কাজের সময় ঘুমিয়েও পড়তেন তিনি । যে বয়সে শিশুরা বই-পেন্সিল হাতে ধরে, খেলাধূলা করে দিন কাটায় সেই বয়সে ইট তৈরি করে দিন কাটত তার। মাত্র ওই টুকু বয়সে সংসারের দায়িত্ব নিতে হয়েছে তাকে। যার কারণে তার জীবন থেকে মধুর শৈশব বাদ গিয়েছিল।
দেখুন ভিডিও-
এই ভিডিওটি zindagi.gulzar.h নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি প্রায় 75 হাজার লাইক পেয়েছে। ভিডিওটি দেখে লোকজনকে নানা ধরনের মন্তব্য করতে দেখা যায়। একজন লিখেছেন, 'ভাইয়ের পরিশ্রমকে আন্তরিক স্যালুট।' অন্য একজন লিখে লিখেছেন, 'আপনার লড়াই অন্যদের অনুপ্রেরণা ।'