রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্রমশ ভয়াবহতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মাঝে যুদ্ধে নিহত এক রুশ সেনার তাঁর মাকে করা শেষ মেসেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেসেজে বলা হয়েছে, “আমরা ইউক্রেনের সব কটি শহরে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছি। সাধারণ মানুষদেরও রেয়াত করা হচ্ছে না। তাদের ওপরেও নির্বিচারে হামলা চালানো হচ্ছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিষয়ে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ পরিষদের একটি জরুরি অধিবেশনে এই বার্তা পড়ে শোনান রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনের বিশেষ রাষ্ট্রদূত। মেসেজে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনীকে ঠেকাতে ইউক্রেনের বাসিন্দারা সাঁজোয়া গাড়ির নীচে নিজেদের বলি দিতে এতটুকুও দ্বিধা বোধ করছে না। তাঁদের উদ্দেশ্য, যেভাবেই হোক রুশ আগ্রাসন ঠেকানো। তিনি আরও বলেছেন, ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলের বাসিন্দারা আমাদের ফ্যাসিস্ট বলেও বর্ণনা করেছে। ইউক্রেনের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত যুদ্ধে সাড়ে চার হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ব্যাচেলেট বলেছেন, অন্তত ১০২ জন নিরীহ নাগরিক যুদ্ধের বলি হয়েছেন। তার মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। চারদিন আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর এই হত্যালীলা করেছে রুশ সেনা। পাশাপাশি, ৩০৪ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত পরিসংখ্যান হয়তো এর চেয়ে অনেক বেশি হবে।
রাষ্ট্রসংঘ আরও জানিয়েছে, প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছেন। অধিকাংশই প্রতিবেশী মলডোভা, রোমানিয়া, পোল্যান্ডে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।
এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের দুটি ছোট শহর দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এমনটাই খবর ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি সূত্রে। রাশিয়া যত আগ্রাসী হচ্ছে ততই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে আবেদন করেছেন, দ্রুত যেন তাদের সদস্যপদ দেওয়া হয়। তিনি এও জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রয়োজনে সামরিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জেলবন্দিদের মুক্তি দেবেন।