Advertisment

ইউক্রেনে লড়াইয়ের মুখ মার্কেটিংয়ের ছাত্রী, সেনার সঙ্গে সমান দক্ষতায় করে চলেছেন দেশরক্ষার কাজ

অস্ত্র চালনার প্রসঙ্গে অ্যালেনা জানিয়েছেন, 'অস্ত্র চালানো আমি শিখেছি। প্রয়োজনে আমি দেশের হয়ে প্রাণ দিতেও রাজী'।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যুদ্ধক্ষেত্রে দেশের জন্য এগিয়ে এলেন এক মার্কেটিং পাঠরতা তরুণী।

যুদ্ধ মানেই অনিশ্চিত জীবন। রাশিয়া ইউক্রানের সংঘাত চরমে উঠেছে। দিনকয়েক আগেই ইউক্রেনের এক সাংসদ সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন দেশ রক্ষা করার জন্য। এবার বারুদের গন্ধে ঢাকা যুদ্ধক্ষেত্রে দেশেরর জন্য এগিয়ে এলেন এক মার্কেটিং পাঠরতা তরুণী। হাতে তুলেছেন একে৪৭ আগেয়াস্ত্র। যেভাবেই হোক রুশ আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতেই হবে। জানা গিয়েছে ওই তরুনীর নাম আলেনা।

Advertisment

রুশ হামলার পর থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের এমন সব ঘটনা সামনে আসছে, যা চমকে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে। সেই সঙ্গে চোখে জলও এনেছে অনেকের। সেইসব ঘটনায় রয়েছে বিশুদ্ধ দেশপ্রেম ও চূড়ান্ত বিপরীত পরিস্থিতিতেও জীবনের জয়গান ঘোষণার তাগিদ! এবার সেই কাজ করে দেখালেন এই তরুনী। অনেকেই স্বেচ্ছায় দেশ বাঁচানোর তাগিদে নাম লিখিয়েছেন সেনা বাহিনীতে। অ্যালেনা তাঁদের মধ্যেই একজন। তিনি জানিয়েছেন, '২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে একের পর এক রুশ হামলার মুখে পড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে ইউক্রেন। অনেকেই দেশকে বাঁচাতে হাতে তুলে নিয়েছেন আগ্নেয়াস্ত্র। সেই দলে নাম লেখালাম আমিও'। যে কোন মূল্যে দেশকে বাঁচাতেই হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত এহেন ইউক্রেন ছাড়ছেন বহু মানুষ। কাতারে কাতারে লোকজন সে নিজের দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে শরণার্থী হয়ে ঢুকছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন এমনটাই জানিয়েছেন রাস্ট্রসংঘ । চারিদিকে যেন একটা থমথমে মেজাজ, কান্নার আওয়াজ আর হাহাকার, কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে ইউক্রেনের আকাশ। এর মাঝেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে শিশুমৃত্যুর প্রকৃত তথ্য সামনে আনল ইউক্রেন। জানা গিয়েছে রুশ আগ্রাসনের মুখে এখনও পর্যন্ত ৩৮টি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশজুড়ে।

আরো পড়ুন: রোমানিয়া সীমান্তে একরত্তির জন্মদিন পালন, এমন ভিডিও চোখে জল আনবেই!

এদিকে দেশের প্রতি এই ভালবাসার খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। সকলেই অ্যালেনার এমন সাহসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অ্যালেনা আরও জানিয়েছেন, আমি সেনা বাহিনীর থেকে আলাদা। আমি টেরিটরি ডিফেন্সে রয়েছি। তিনি আরও বলেন, "সকল মানুষ দেশের পাশে রয়েছে। আসলে সবাই আমরা দেশকে ভালবাসি। সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য করতে চাই কারণ তারা ইউক্রেনের ভবিষ্যত নিয়ে সবাই চিন্তিত এবং সবাই অবদান রাখতে চায়'। এদিকে অস্ত্র চালনার প্রসঙ্গে অ্যালেনা জানিয়েছেন, 'অস্ত্র চালানো আমি শিখেছি। প্রয়োজনে আমি দেশের হয়ে প্রাণ দিতেও রাজী'।

Russia-Ukraine Conflict
Advertisment