ইউক্রেনের মাটিতে আছড়ে পড়ল ৫০০ কেজির বিশালাকার বোমা। সেদেশের সুমি শহরের আবাসনের উপরে পড়া ওই বোমার আঘাতে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন সূত্রে । তাদের মধ্যে রয়েছে দু’জন শিশু। ইউক্রেনের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে একটি টুইট করে একথা জানিয়েছে।
ইউক্রেনের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের পোস্টে জানানো হয়েছে, ”গত রাতে ফের মানবতা বিরোধী এক অপরাধ করেছে রুশ বিমান চালকরা। তারা ৫০০ কেজির একটি বোমা ফেলেছে এক আবাসনের উপরে। এর ফলে ১৮ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন শিশু রয়েছে।” যেহেতু আবাসনের উপরে বোমা পড়েছে, তাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
এদিকে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা ওই একই ধরনের আরেকটি বোমার ছবি শেয়ার করেছেন। সেটি ফেলা হয়েছিল চেরনিহিভ শহরে। কিন্তু সেটিতে বিস্ফোরণ ঘটেনি। বারবার রুশ সেনা এভাবে লোকবসতিতে বোমা ফেলে সাধারণ মানুষের চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, মূলত মহিলা, শিশু ও বয়স্কদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। দিমিত্রির কাতর আরজি, ”রাশিয়ার (Russia) বর্বরদের হাত থেকে আমাদের বাঁচান। আমাদের যুদ্ধবিমান দিয়ে সাহায্য করুন।”
এদিকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, সুমি শহরে আর কোনও ভারতীয় পড়ুয়া আটকে নেই। টুইটে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি লিখেছেন, ”এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে আমরা সুমি থেকে সমস্ত ভারতীয় ছাত্রদের সরিয়ে দিতে পেরেছি। তাঁরা বর্তমানে পোলতাভার পথে রয়েছেন। যেখান থেকে তাঁরা পশ্চিম ইউক্রেনের ট্রেনে উঠবেন। তাঁদের বাড়িতে আনার জন্য অপারেশন গঙ্গার অধীনে বিমানগুলিও তৈরি রয়েছে।”
রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ‘মৃত্যুপুরী’ ইউক্রেন ছেড়েছেন ১৭ লক্ষ মানুষ। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত অল্প সময়ের ব্যবধানে ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সঙ্কট বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। তার মধ্যেই ফের রুশ আগ্রাসনের ছবি এল সামনে। এদিকে গতকাল এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্রিটিশ পার্লেমেন্টে ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেই সঙ্গে তিনি বলেন,নো ফ্লাই জোনের কথাও।