বছর খানেক হল বিয়ে হয়েছে! কিন্তু অভ্যাস বদলায়নি দু’জনের। চায়ের দোকানে খানিক আড্ডা, একগ্লাসে চায়ের মধ্যে বিস্কুট চুবিয়ে খাওয়া। সবটাই একই রয়েছে। বেড়েছে শুধু দায়িত্ব। প্রেমিকা থেকে বউ হয়ে উঠেছে সাবিনা।
আফজলের মধ্যেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। সেই দস্যিপনা কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে। সামান্য দিন মজুরের কাজ করেও আফজলের ভালবাসায় কোন ছেদ পড়েনি। সেই সকাল থেকে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে দৈনিক ৩০০ টাকা আয়। তাতেই হাসি মুখে রয়েছে এই দম্পতি।
কাজ থেকে ফিরে ফি দিনই সাবিনাকে রান্নায় সাহায্য করে আফজল। এমন প্রেমিককে স্বামী হিসাবে পেয়ে রীতিমত খুশি সাবিনাও। তার কথায় সংসারে দারিদ্র রয়েছে, আছে অভাবও, কিন্তু যেটা অতিরিক্ত রয়েছে তা হল স্বামীর ভালবাসা। সাবিনা বলেন, ‘মা বাবার অমতেই নিজের ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করেছি। প্রথমে একটু ভয় করছিল, মনের মানুষটা’ই যদি বদলে যায়’!
কিন্তু না, এই আফজলকেই তো ভালবেসেছিল সাবিনা। তাদের প্রেম হার মানাবে চিত্রনাট্যকেও। পড়ন্ত বিকেলে মাঝে মধ্যে এক গ্লাসে বিস্কুট চুবিয়ে খেতে মাঝে মধ্যেই চায়ের দোকানে হাজির হন আফজল-সাবিনা। সেদিনও দিল্লির এক চায়ের দোকানে আবারও দেখা দেল এই দম্পতিকে।
আফজলের পরনে জিন্স এবং টাইট ব্রাউন শার্ট। সাবিনার পরনে নীল কুর্তা সঙ্গে ফুল আঁকা দোপাট্টা। সাবিনা বলে আফজলের চুলের স্টাইল, কথা বলা ধরণই তাকে আফজলের প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে আফজল সাবিনার ব্যাপারে কোথা থেকে শুরু করবে ভেবে উঠতে পারছে না। আসলে সাবিনা মানুষটাই যে বড্ড প্রিয় আফজলের কাছে। সাবিনা-আফজালের প্রেমকাহিনী এখন ভাইরাল। তাদের এক গ্লাসের চা খাওয়ার প্রেম আজ কোটি কোটি যুগলকে প্রেমে অনুপ্রেরণা দেয়।
আচ্ছা খুনসুটি হয়? উত্তরে সাবিনা বলে খুনসুটি না ছাই! মাঝে মধ্যেই ঝগড়া করে আমার সঙ্গে। ঝগড়া হলে নাকি স্বামী হিসাবে স্ত্রী’কে অনেক উপদেশও দেয় আফজল। নিজেদের বাড়ি থেকে কিছু দুরেই ছোট্ট এককামরা ঘরই এখন দুজনের স্বপ্নের ঠিকানা। ভবিষ্যতের অনেক স্বপ্নের ভিড় দুজনের চোখে মুখেই। বাবা-মা’র থেকে দূরে গিয়েও সাবিনা যেন ফিরে পেয়েছে এক সব পাওয়ার দেশ !