Success Story : ব্রিটেন থেকে ডিগ্রি এনে বাবাকে উপহার, সিকিউরিটি গার্ডের মেয়ের এই সাফল্য অবাক করবেই!
ছেলেমেয়েকে বড় স্কুলে পড়াশুনা করানো থেকে শুরু করে জীবনের সবটুকু চাহিদাকে হাসিমুখে মেটাতে দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমকেও হাসি মুখে মেনে নেয় বাবা-মা। তেমনই এক বাবার কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল যা চোখে জল এনে দিয়েছে লাখো মানুষের।
প্রত্যেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের মানুষ করতে প্রাণপাত করেন। ছেলেমেয়েকে বড় স্কুলে পড়াশুনা করানো থেকে শুরু করে জীবনের সবটুকু চাহিদাকে হাসিমুখে মেটাতে দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমকেও হাসি মুখে মেনে নেয় বাবা-মা। তেমনই এক বাবার কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল যা চোখে জল এনে দিয়েছে লাখো মানুষের।
Advertisment
সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেও মেয়েকে পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছেন বাবা। তাঁর এহেন প্রচেষ্টা, আত্মত্যাগকে ধন্য ধন্য করেছে সকলেই। কীভাবে নিজে কঠোর পরিশ্রম করেও নিজের 'রাজকন্যা'কে মানুষের মত মানুষ করেছেন এক বাবা সেই কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নস্ট্যালজিক হয়ে উঠেছেন অনেকেই। অনেক ব্যবহারকারী তাঁদের বাবা-মা'র হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কাহিনী সকলের সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
সন্তানের সাফল্যের কৃতিত্ব বাবা-মায়ের ও। বাবা-মা তাঁর সন্তানকে যেভাবে আগলে রাখেন মানুষ করতে প্রাণপাত করেন সেই ঋণ কোন সন্তানের পক্ষে সাত জন্মেও মেটানো সম্ভব নয়। সম্প্রতি, এক সিকিউরিটি গার্ডের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যিনি নিজে পরিশ্রম করেও তিলে তিলে সঞ্চয় করেছেন মেয়েকে বিদেশের লেখাপড়া করতে পাঠানোর জন্য। অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা, boAt এর প্রতিষ্ঠাতা আমান গুপ্তা সহ সেলিব্রিটিরাও বাবার এই আত্মত্যাগকে স্যালুট জানিয়েছেন।
ভিডিওটি শুরু হয় বাবা এবং মেয়ের মধ্যে আলিঙ্গন-এর মধ্যে দিয়ে। যিনি তাঁর পরিশ্রমের টাকায় মেয়েকে ব্রিটেনের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি করেছেন। এরপর বিমানবন্দরে মেয়েকে বিদায় জানাতে দেখা যায় বাবাকে। ভিডিওটিতে স্নাতক অনুষ্ঠানের ঝলকও রয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "যারা আমার বাবাকে বলেছিলেন, 'আপনি একজন গার্ড, আপনি আপনার মেয়েকে বিদেশে পাঠাতে পারবেন না।' তিনি আমার জীবনকে এভাবে গাইড করেছেন"।
শেয়ার করার পর থেকে, ক্লিপটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ১৭ মিলিয়ন ভিউ এবং ১.৮ মিলিয়ন লাইক পেয়েছে। boAt এর প্রতিষ্ঠাতা আমান গুপ্ত লিখেছেন, "অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনার এবং আপনার বাবার জন্য আরও শক্তি ও শুভ কামনা।" ইপর এক ব্যক্তি লিখেছেন, "আপনার বাবা একজন সুপারহিরো।"