ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর নিজের হাসি আটকাতে পারেননি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। আর এই হাসির কারণে টুইটারে সোচ্চার হন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এহেন আচরণের তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক ট্রোলের স্বীকারও হতে হয় তাকে। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ওয়ারশতে ইউক্রেন সংকট নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর যখন এ ঘটনা ঘটে, তখন কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ছিলেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা।
এ সময় একজন সাংবাদিক হ্যারিসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য বিশেষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কিনা? এরপর ওই সাংবাদিক পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেন যে, তিনি ওয়াশিংটনকে আরও শরণার্থী গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন কি না। এমন প্রশ্নের পর দুই রাজনীতিকের কেউই দৃশ্যত প্রাথমিকভাবে উত্তর দিতে চাননি এবং কিছুক্ষণের জন্য তারা নীরবে একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। উপস্থিত অনেকের ধারণা, দুই নেতা মূলত সাংবাদিকের ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য একে অপরকে ইঙ্গিত করছিলেন।
এর পর আন্দ্রেজ ডুদার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। কৌতুক করে বলেন, ‘প্রয়োজনেই বন্ধুর পরিচয়।’ এ কথা বলেই হাসিতে ফেটে পড়েন কমলা। পরে পোলিশ নেতাকে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারসতে বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনা ঘটে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কমলা হ্যারিসের এই ধরণের কৌতুক প্রসঙ্গে গর্জে ওঠেন একশ্রেনীর মানুষ, সেই সঙ্গে এহেন আচরণকে লজ্জাজনক, এবং রুচিহীন বলেও মন্তব্য করেছেন।