Advertisment

বাংলা বুঝতে না পেরে বিপত্তি, কেকের উপর এ কী লেখা! বিতর্কে বেকারি সংস্থা

নিলাব্জর পোস্ট ঘিরে বিতর্ক, অবশেষে সত্যি সামনে আনলেন তিনি, কী ঘটেছে আসলে?

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
Social media troll on cake bakery Kolkata, nilabjo niyogi spoken the truth

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল নিলাব্জর পোস্ট

শেষ কিছুদিন ধরেই বিতর্ক! নামজাদা কেক বেকারির বাংলায় 'নাম লিখন' নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। বাংলায় থেকে বাংলা জানেন না? এগুলো মেনে নেওয়া যায়? নিলাব্জর পোস্ট ঘিরে নানান মন্তব্য। কী হয়েছিল আসলে?

Advertisment

নিলাব্জর নিয়োগী, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। দুদিন আগে ঘটে যাওয়া এক ঘটনায় বেশ আলোড়ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহর কলকাতার এক নামকরা বেকারি থেকে কেক অর্ডার করেছিলেন তিনি। সেখানেই নাকি বাংলা ফন্টে নাম লিখে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। কিন্তু কেকটি হাতে পেয়ে চোখ কপালে তাঁর! বাংলা ফন্টে নাম লেখার বদলে কেকের ওপরে ইংরেজিতে লেখা বাংলা ফন্ট, এবং সঙ্গে অনেকগুলি জিজ্ঞাসা চিহ্ন! শহর কলকাতার বুকে ব্যবসা করছেন এদিকে বাংলা জানেন না? তবে নিলাব্জ কিন্তু বেশ অন্যকথা বলছেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "কিছুটা বুঝতেও ভুল হয়েছে। তাঁর কথায়, আমি একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার করি। কারণ, সত্যি বলতে গেলে এটি আমার অন্যতম প্রিয় বেকারি। আমি সেই ফুড ডেলিভারি অ্যাপে অর্ডার করার সময় লিখে দিয়েছিলাম, ঝোরা নামটি লিখে দেওয়ার জন্য। তারপর যখন পিক আপ নোটিফিকেশন পাই, আমি ফুড ডেলিভারি বয়কে ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যে নামটি লেখা হয়েছে তো? ও আবার দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, যে নামটি লেখা হয়েছে কিনা। সেখান থেকেও বলা হয় যে হ্যাঁ, হয়েছে। ও চলে আসে। আমি অর্ডার রিসিভ করার পর দেখি, এই কান্ড! আমি তো অবাক। আমার একটাই কথা, একটা কারণেই পোস্ট করা। কলকাতায় যখন দোকান, তখন তো বাংলা জানা উচিত। এতটা প্রফেশনালিজমের অভাব?"

<br />
cake bakery, kolkata bakery, bengali font, mrs magpie, kolkata cake bakery controversy, nilabjo niyogi, viral news, viral story
দ্বিতীয়বার এই কেকটি পাঠিয়েছেন তাঁরা

তবে, ঘটনা আরও জটিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। তাঁরা নিলাব্জর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই পরিষ্কার হয় সমস্ত কিছু। তিনি বলছেন, "আমার সঙ্গে যখন ওদের কথা হয়, তখন জানতে পারি যে ফুড ডেলিভারি অ্যাপে নির্দেশ দেওয়া থাকলেও কোনও কারণে বাংলায় লেখা সেই ফন্টটি অ্যাকসেসেবেল ছিল না সিস্টেমে। তাই তারা নাকি বুঝতে পারেন নি। এখানেও বলব, আমায় একবার জিজ্ঞেস করে নিলেই পারত যে নামটা কী লেখা হবে। তবে, হ্যাঁ! ওরা আমার সঙ্গে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছেন। গতকাল, সঠিক নাম লেখা একটি কেক পাঠিয়েছেন আমায়।"

সন্তোষপুর ব্রাঞ্চ থেকে তিনি এই কেক অর্ডার করেছিলেন। আর তাতেই এহেন অবস্থা। সঙ্গীত শিল্পীর কথায়, ওরা আমায় জানায় যে এর বিরুদ্ধে ওরা পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু সেটা কোনও কথা নয়। এতে একজন মানুষের চাকরি যাবে। তাকে প্রপার ট্রেনিং দেওয়াটা দরকার। ছাঁটাই করা কোনও বিকল্প নয়। যদি, প্রথমেই জিনিসটার দিকে তাঁরা নজর রাখতেন, তাহলে কিন্তু আজ দ্বিতীয়বার করে ওদের কেক পাঠাতে হত না। এত হল্লা হত না।

উল্লেখ্য, তাঁর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। একরকম রেগে আগুন সোশ্যাল পাড়ার লোকজন। বাংলায় থেকে বাংলা জানেন না? কেউ কেউ তো উগড়ে দেন ক্ষোভ। তবে, নিলাব্জর কথায়, আজকে নেহাত কেকটা আমার নিজের জন্য অর্ডার করেছিলাম। কাউকে উপহার হিসেবে সরাসরি পাঠালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হত। আমি আবারও এই একই জায়গা থেকে কেক অর্ডার করব, তবে কাজ যেন তারা ঠিক করে এটুকুই।

viral news kolkata news
Advertisment