একদিকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। মন্ত্রী মশাইয়ের সম্পত্তির হিসেব নিকেশ করতেই নাজেহাল অবস্থা দুঁদে গোয়েন্দাদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্ত্রী মশাই এবং তাঁর অন্যতম সঙ্গী মডেল-অভিনেত্রীকে নিয়ে চর্চার বিরাম নেই। তার মাঝেই ভাইরাল হয়েছে এক মর্মস্পর্শী ভিডিও।
Advertisment
সামান্য টাকার জন্য হুইল চেয়ারে করেই জোম্যাটো ডেলিভারি বয়ের কাজ করছেন এক যুবক। প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সকাল থেকে রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলেই চলে বাড়ি বাড়ি খাবার ডেলিভারি। আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সমাজের বাস্তব ছবিই যেন ফুটে উঠেছে। বেকারত্বের জ্বালা যে কতটা ভয়ঙ্কর তা আমরা টের পেয়েছি।
৫০০ দিন অতিক্রান্ত যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের অনশন। তার মাঝেই ইডি তল্লাশিতে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। যার সঙ্গে যোগ সমাজের বিত্তশালীর। একই সমাজের দুটো বিপরীত চিত্র আমাদের সামনে একেবারে বাস্তব হয়েই ধরা দিয়েছে।
প্রায় বছর চারেক আগে মেরুদণ্ডে গুরুতর চোট পেয়ে কর্মক্ষমতা হারান গণেশ মুরুগান। সেই থেকেই জীবনে বাঁচার চিন্তা গ্রাস করেছিল তাকে। কীভাবে চলবে সংসার? কীভাবে উপার্জন করবেন অর্থ? এই চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়েছিল গণেশের।
জোম্যাটোর তরফে প্রথম প্রতিবন্ধী হিসাবে গনেশকে নিয়োগ করা হয় ডেলিভারি বয় হিসাবে। তার এই বিশেষ হুইল চেয়ারটি ডিজাইন করে আইআইটি মাদ্রাজের একটি একটি স্টার্ট-আপ সংস্থা। একটি বোতামের মাধ্যমে বিশেষ এই হুইল চেয়ারের সামনের এবং পিছনের অংশ আলাদা করা যেতে পারে।
দুর্ঘটনার পরেও একটুও দমেনি গণেশ। জীবনে কিছু করার জেদ তাকে সর্বদাই তাড়া করে বেড়িয়েছে। নেটিজেনরা গনেশের এমন গল্পে একাধারে যেমন মুগ্ধ হয়েছেন তেমনই জোম্যাটোকে স্বাবলম্বী করার জন্য গনেশকে পথ দেখানোর জন্য কুর্ণিশও জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “হ্যাট অফ স্যার। তার এই হার না মানার গল্প এখন অনেকের কাছেই এক অনুপ্রেরণা