Success Story: চারবারের UPSC-তে তিনবার সফল! চতুর্থ প্রচেষ্টায় IAS, কাহিনী চমকে দেবে

UPSC Success Story: আইআইটি বোম্বেতে পড়ার সময়ই আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে প্রাণপাত করন। অবশেষে UPSC পরীক্ষায় চূড়ান্ত সফল। আইএএস অফিসারের সাফল্যের গল্প চমকে দিতে বাধ্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
success story of ias kartik jivani who appeared in upsc 4 times

কার্তিক জীবনী

UPSC Success Story:  চারবার UPSC-তে  তিনবার সফল! চতুর্থ প্রচেষ্টায় IAS, এমন সাফল্য তাক লাগাতে বাধ্য। 

Advertisment

আইআইটি বোম্বেতে পড়ার সময়ই আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে প্রাণপাত করন। অবশেষে UPSC পরীক্ষায় চূড়ান্ত সফল।   আইএএস অফিসারের সাফল্যের গল্প চমকে দিতে বাধ্য। 

UPSC পাশ করা সকলের কাছেই একটা বড় স্বপ্ন।  অনেকে একবারও চেষ্টা করেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আবার অনেকে বছরের পর বছর ধরেই কঠিন এই পরীক্ষায় সাফল্য পান না। আজকের এই প্রতিবেদনে  ধারাবাহিক 'সাফল্যর গল্প' আপনাদের চমকে দিতে বাধ্য। আইপিএস অফিসার হওয়ার পরও, তিনি আইএএস হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছেন। নাগাড়ে পরিশ্রম এবং দৃঢ় সংকল্পই তাঁকে লক্ষ্যভেদে সাহায্য করেন।

গুজরাটের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কার্তিক জীবনী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গুজরাটি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর, তিনি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি হন এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পর  তিনি জেইই মেইন এবং অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় অংশ নেন এবং দুটি পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হন। এর পর, তিনি আইআইটি বোম্বেতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়, তিনি সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৬ সালে UPSC পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। প্রথম প্রচেষ্টায়, অর্থাৎ ২০১৭ সালে, তিনি ব্যর্থ হন। 

Advertisment

হাল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, তিনি পরবর্তী দু বছর কঠোর পরিশ্রম করেন। ২০১৯ সালে, তিনি দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেছিলেন এবং এবার তিনি সর্বভারতীয় স্তরে ৯৪ তম স্থান অর্জন করেছিলেন। সাফল্যের পর তিনি আইপিএস-এর ট্রেনিং শুরু করেন, এর পরে তিনি তার আইএএস হওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি চালিয়ে যান। ২০১৯ সালে তৃতীয় প্রচেষ্টায় তিনি ৮৪তম স্থান অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ২০২০ সালে চতুর্থ প্রচেষ্টায় ৮ম স্থান অর্জন করেন, যার ফলে তিনি আইএএস হন। তার বাবার মতে, তিনি তার আইপিএস প্রশিক্ষণ থেকে ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন যাতে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

জীবনী প্রতিদিন ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। কেবল বইয়ের উপর নির্ভর না করে বরং অনলাইনে প্রচুর নোট তৈরি করতেন, তার সংগ্রাম এবং নিষ্ঠা প্রমাণ করে যে, যেকোনো লক্ষ্য অর্জনের জন্য যদি সত্যিকারের কঠোর পরিশ্রম এবং অবিরাম প্রচেষ্টা করা হয়, তাহলে যেকোনো স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।

upsc Success Story