Advertisment

Inspirational story: দিনমজুর মায়ের কঠোর পরিশ্রমই লক্ষ্যভেদের চাবিকাঠি, সেনা অফিসার হয়ে ইতিহাস গড়ল শুভম

শুভম নারওয়াল নামটার সঙ্গে আজ হয়তো কম বেশি অনেকেই পরিচিত। খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারান শুভম। তারপর থেকে বটবৃক্ষের মতো ছেলেকে বুকে আগলে রেখে সন্তানকে মানুষ করতে প্রাণপাত করেন মা। নিরক্ষর মা নিজেই তার ছেলেকে শিক্ষিত করে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেন। অবশেষে নৌবাহিনীর অফিসার হয়ে অবশেষে লক্ষ্যভেদ করেন শুভম।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Shubham narwal nda officer

ছেলেকে 'মানুষ' করতে প্রাণপাত মায়ের, সেনা অফিসার হয়ে নজির শুভমের

shubham narwal success story: বাবার মৃত্যুর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে গোটা পরিবারের। চোখের সামনে সাজানো স্বপ্নগুলি একের পর এক ঝাপসা হয়ে যেতে শুরু করে শুভমের। সেই সময় শুভমকে মনের জোর দেন মা। নিজে শ্রমিকের কাজ করে ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রাণপাত করেন মা। এভাবেই শুভমকে নৌবাহিনীর অফিসার তৈরি করে নজির গড়েন তিনি।

Advertisment

শুভম নারওয়াল নামটার সঙ্গে আজ হয়তো কম বেশি অনেকেই পরিচিত। খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারান শুভম। তারপর থেকে বটবৃক্ষের মতো ছেলেকে বুকে আগলে রেখে সন্তানকে মানুষ করতে প্রাণপাত করেন মা। নিরক্ষর মা নিজেই তার ছেলেকে শিক্ষিত করে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেন। অবশেষে নৌবাহিনীর অফিসার হয়ে অবশেষে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

কোনো কোচিং ছাড়াই নৌবাহিনীর অফিসার হয়ে সকলকে চমকে দিয়েছেন শুভম। ছোট থেকে অভাব ছিল শুভমের নিত্যসঙ্গী। সামান্য দিন মজুরের কাজ করা মায়ের পক্ষে ছেলেকে ভালো কোচিংয়ে পড়ানো সম্ভব হয়নি। তা সত্ত্বেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে তা ছিনিয়ে এনে নজির সৃষ্টি করেন শুভম।

আরও পড়ুন : < Woman Dances at Kolkata Airport: মেট্রো, লোকাল ট্রেন অতীত, কলকাতা বিমানবন্দরে নাচ যুবতীর, ভাইরাল ভিডিও >

শুভম নারওয়ালের সাফল্যের গল্প আজ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার। আদতে রাজস্থানের ঝুনঝুনু বাসিন্দা শুভম জানান, ২০১৫ সালে তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন শুভম স্কুলের গণ্ডিও পেরোয়নি।

শুভমকে মানুষ করে তুলতে আসরে নামেন মা। হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি শুভমের পড়াশুনা বন্ধ হতে দেন নি। শুভম দশম শ্রেণীতেই ঠিক করেছিল সে নৌবাহিনীর অফিসার হতে চায়। এনডিএ কোচিংয়ের জন্য চণ্ডীগড়ে গিয়েও সঙ্গে তিন হাজার টাকা না থাকায় তাকে ফিরে আসতে হয়। এরপর বাড়িতেই চলে তার প্রস্তুতি।

শুভম জানান, বড় দু বোনের বিয়ে হয়েছে। মা শ্রমিকের কাজ করে সবাইকে বড় করেছেন। NREGA-এর অধীনে, প্রতিদিন ২২০ টাকা করে পেতেন মা। বছরে মাত্র ১০০ দিন সেই কাজ পেতেন। বাকি দিনগুলিতে মাঠে কাজ করে সন্তানকে মানুষ করে তুলেছেন।

viral Trending News Success Story
Advertisment