New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/mt-Everest-759.jpg)
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দীর্ঘ লকডাউনের ফলে অস্বাভাবিকভাবে কমেছে দূষণের মাত্রা। প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে বায়ুদূষণ।
কখনও খালি চোখে জলন্ধর থেকে দেখা মিলেছে গিরিরাজ হিমালয়ের, কখনও আবার বসন্তবিহার থেকে খুব সহজে ধরা দিয়েছে গঙ্গোত্রীর চোখ জুড়ানো দৃশ্য। আর এবার বিহারের সীতামারি জেলার সিংহবাহিনী গ্রাম থেকে খালি চোখেই দেখা মিলল মাউন্ট এভারেস্টের। যা কার্যত অবাক করেছে নেটিজেনদের।
সম্প্রতি তাঁর সোশ্যাল পেজে একটি ছবি শেয়ার করেছেন বিহারের ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দা, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চোখের সামনেই ঝকঝক করছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। ছবিটি ঋতু জয়সওয়াল নামে ওই মহিলার বাড়ির ছাদ থেকেই তোলা বলে জানিয়েছেন তিনি। ঋতু লিখছেন, “প্রকৃতি নিজেই সমতা রাখছে।” তিনি আরও লিখেছেন, এর আগে বৃষ্টির পর বা আকাশ পরিষ্কার থাকলে মাঝে মধ্যে দেখা গিয়েছে নেপালের কাছের হিমালয় রেঞ্জ। তবে এভারেস্টের চূড়া এই প্রথম। অবশ্য নীচের কমেন্ট থেকে স্পষ্ট, যে সকলেই তাঁর এই দাবি মেনে নেন নি।
ভৌগোলিক মানচিত্র বলছে, বিহারের সীতামারি জেলার এই অংশটি ভারত-নেপাল সীমান্তের নিকটেই অবস্থিত। গুগল ম্যাপ অনুযায়ী, সীতামারী থেকে মাউন্ট এভারেস্টের দূরত্ব প্রায় ২০৫ কিলোমিটার এবং এই গ্রাম থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৯৪ কিলোমিটার।
हम सीतामढ़ी जिले के अपने गाँव #सिंहवाहिनी में अपने छत से #MtEverest देख सकते हैं आज। प्रकृति खुद को संतुलित कर रही है। नेपाल के नज़दीक वाले पहाड़ तो बारिश के बाद साफ मौसम में कभी कभी दिख जाते थे। असल हिमालय के दर्शन अपने गाँव से आज पहली बार हुए।#NatureisBalancing@KashishBihar pic.twitter.com/Ss3UHAzxWN
— Ritu Jaiswal (@activistritu) May 4, 2020
Madam how do you confirm is this mount Everest???
— Prahlad Raj (@thebestprahlad) May 5, 2020
Ye jhooth h, jhooth h, jhooth h
— nitesh ladia (@niteshladia) May 5, 2020
It's great if the pic is real. Really something good happening in this lockdown.
— shiv shankar (@shivshankar1402) May 4, 2020
বলার অপেক্ষা রাখে না, দৃষণের মাত্রা কমার ফলেই এই প্রাপ্তি। দূর নিকট হয়েছে সহজেই। করোনার ত্রাসে ধুঁকছে তামাম বিশ্ব। তবে এর ইতিবাচক দিক যে একেবারেই নেই, তা বললে ভুল হবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দীর্ঘ লকডাউনের ফলে অস্বাভাবিকভাবে কমেছে দূষণের মাত্রা। প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে বায়ুদূষণ। ফলস্বরূপ, কখনও দূরের জিনিসও দৃশ্যমান হয়েছে। অবসরে প্রকৃতিও তার ডালি সাজিয়েছে মনমতো। সব মিলিয়ে লকডাউনের ইতিবাচক দিকটাও বেশ উপভোগই করছেন বিশ্ব তথা দেশবাসী।