তোমাকে খুব মিস করছি…..! এমন বার্তা পেয়েই চোখ কপালে মহিলার। একটু পরেই আবারও একই নম্বরে আবারও একটি মেসেজ, “দারুণ দেখাতে তোমায়”…..! একের পর এক মেসেজে তখন চোখ কপালে মহিলার। কিন্তু এই নম্বরটা একেবারেই নতুন এটা তো কারুর জানার কথা নয়। হটাৎ করেই মাথায় আসে আরে, এটাই তো সুইগিতে রেজিস্টার করা ফোন নম্বর।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথায় আসে আরে কিছু সময় আগেই তো সুইগির ডেলিভারি বয় খাবার ডেলিভারি করে গেছে, তাহলে কী ডেলিভারি বয়ের’ই করসাজি? এই প্রশ্ন থেকেই সরাসরি টুইটারে বিষয়টি জানিয়ে সুইগিকে ট্যাগ করেন ওই মহিলা। তার পরদিন সকালে আবারও হোয়াটসঅ্যাপে আসে আরও একটি মেসেজ, যাতে মহিলা নিশ্চিত হন তার আশঙ্কাই সত্যি। একাজ ডেলিভারি বয়ের। কারণ যে শাড়িতে তিনি খাবার নিতে গেছিলেন সেই শাড়ির রঙ ডেলিভারি বয় ছাড়া অন্য কারুর পক্ষে জানা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: <২০ টাকার চায়ে ৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ! শতাব্দী এক্সপ্রেসে হুলস্থূল কাণ্ড>
তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন, “সুইগির ডেলিভারি বয়ের থেকে 'ভয়ঙ্কর' মেসেজ পেয়ে আমি স্তম্ভিত। আমার মনে হয় আমার মত দেশের হাজার হাজার মহিলা এই ধরণের ঘটনার শিকার। তিনি আরও লেখেন, সুইগি থেকে খাবার ডেলিভারির পরই আমি নানান ভয়ঙ্কর মেসেজ পেতে শুরু করি তাতে লেখা হয়েছে "মিস ইউ লট", খুব সুন্দর তুমি” ইত্যাদি”!
আরও পড়ুন: <অ্যাম্বুলেন্স অমিল, অগত্যা কাঁধে চাপিয়েই গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালে পরিজনরা>
এরপরই সুইগির তরফে ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পর তদন্ত শেষের পর সুইগির ওই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এব্যাপারে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সুইগির একজন মুখপাত্র বলেছেন “এই ঘটনা অনভিপ্রেত, তবে এমন আচরণের ক্ষেত্রে সংস্থা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলে। যার কারণেই ওই কর্মীকে সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে”।