রয়েছে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রি। কপালের ফেরে আজ তিনি সুইগি ডেলিভারি বয়। এর আগে কাজ করেছেন একাধিক বহুজাতিক সংস্থায়। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা। সংসার চালাতে নাভিশ্বাস অবস্থা। এমন পরিস্থতিতে যুবকের এই কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলেছে।
বলাই বাহুল্য যে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। গ্রাহকদের তাদের দোরগোড়ায় খাবার সরবরাহ করতে ডেলিভারি এজেন্টদের প্রতিকূল আবহাওয়া এই কঠোর পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকিও নিতে হয়। সেই সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের খারাপ আচরণ তাদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে। সম্প্রতি সুইগি ডেলিভারি এজেন্টের এমন এক গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হয়েছে যা আপনার চোখেও জল আনবে।
প্রিয়াংশ চন্দল, তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। আইসক্রিম অর্ডার নিয়ে ৩কিলোমিটার দীর্ঘ পথ হেঁটে তা পৌঁছে দিতে আসেন মহিলার বাড়িতে। দেরির কারণ জানতে চাইলে প্রিয়াংশ গ্রাহককে জানান, তার কাছে সাইকেল বা বাইক কিছুই নেই। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা। সংসার চালাতে এই সামান্য রোজগারই তার ভরসা। করোনা কালে চাকরি হারিয়ে ফিরে যান নিজের রাজ্যে।
তিনি গ্রাহককে আরও বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহ খাইনি, শুধু জল আর চা খেয়ে রয়েছি। আমি কিছু চাইছি না, দয়া করে আপনি যদি আমাকে কিছু কাজ দেন, আমি আগে ২৫ হাজারের চাকরি করতাম, আমার বয়স ৩০ বছর,”। এরপরই ওই গ্রাহক ডেলিভারি বয়কে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে আবেদন করেন ওই ডেলিভারি বয়ের জন্য একটি কাজ দেখে দেওয়ার। অনেকেই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। পরে চান্দল একটি আপডেট দিয়ে জানান, তিনি একটি কাজ পেয়েছেন!!! যারা তাঁকেএগিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদও জানান তিনি।