আবারও তালিবানি বর্বরতার সাক্ষী থাকলো সোশ্যাল মিডিয়া সঙ্গীতশিল্পীর সামনেই এবার তাঁর বাদ্যযন্ত্র পোড়ালো তালিবানরা। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের জাজাইআরব জেলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তালিবানের অত্যাচারের এই ভিডিও। আফগানিস্তানের সাংবাদিক আবদুল্লাহক ওমেরি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেন।সেখানে দেখা যায় এক সঙ্গীতশিল্পীর বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে ফেলছে তালিবানরা। আর এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই আরও একবার তালিবানের বর্বরতায় মুখ খুললো তামাম বিশ্ববাসী! নিজের সাধের বাদ্যযন্ত্রকে পুড়ে যেতে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না সঙ্গীত শিল্পী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তালিবানের এই অত্যাচারের এই ভিডিও। সেখানে দেখা যায় এক সঙ্গীতশিল্পীর বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে ফেলছে তালিবানরা। নিজের সাধের বাদ্যযন্ত্রকে পুড়ে যেতে দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ওই শিল্পী। তাঁর গায়ের ছিন্নভিন্ন পোষাক তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারেরই নীরব সাক্ষী। অন্যদিকে তাঁকে কাঁদতে দেখে পৈশাচিক ভাবে হাসাহাসি করতে দেখা যায় তালিবানদের।
তালিবানের এই অত্যাচার নতুন কিছু নয়। গতবছর আগষ্ট মাসে কাবুল দখলের পর থেকে আফগানিস্তান বাসীর জন্য নিজেদের ইচ্ছেমতো ফতোয়া জারি করেছে তালিবান। নারীদের অবমাননা ছাড়াও সমস্ত রকম শিল্পকলারই বিরোধিতা রয়েছে সেই ফতোয়ায়। এর আগেই আফগানিস্তানের যানবাহনে গান বাজানো নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। এছাড়াও তাদের ফতোয়া অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠানেও করা যাবে না গানবাজনা। এমনকি স্ত্রী এবং পুরুষদের পৃথক জায়গায় আনন্দ করতে হবে।সেদেশে নিষিদ্ধ হয়েছে প্রকাশ্যে মহিলাদের রাস্তায় বেরোনো থেকে গান, অভিনয়ের মত জিনিস গুলিও। ২০ বছর পর তালিবানের আবার আফগানিস্তান দখল যে সভ্য পৃথিবীর কাছে লজ্জাজনক এক অধ্যায়, এমনটাই মনে করেন কুটনৈতিক মহল।