Advertisment

নাসা যাওয়ার স্বপ্ন ছুঁতে চলেছে জয়ালক্ষী, তবে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে দারিদ্রতা

সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, মা মানসিক রোগী, বাবা সংসার ত্যাগ করেছে। সংসারের গুরু দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সম্প্রতি বিজ্ঞান প্রেমী মেয়েকে নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে সোশাল মিডিয়ায়। কী করে পেল সে এই সুযোগ? এই প্রশ্নই ঘনীভূত হয়েছে। শুধুমাত্র মেধা ও ইচ্ছা শক্তির জোরে সে আজ নাসায় পাড়ি দেওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চলেছে।

Advertisment

তামিলনাড়ুর পাত্তুকোট্টাইয়ের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী কে.জয়ালক্ষী। এক সরকারি স্কুলে পড়াশুনা করে সে। বরাবরই বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী জয়ালক্ষী। সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, মা মানসিক রোগী, বাবা সংসার ত্যাগ করেছে। সংসারের গুরু দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। স্কুল, পড়াশুনা, মিটিয়ে দিনের শেষে বাদাম বিক্রি করে সে।
শুধু তাই নয়, টিউশন করে জয়ালক্ষী।

আরও পড়ুন: জন্মদিন পালনের সময় বাদরের উপদ্রব! ভাইরাল ভিডিও

একদিন হঠাৎই কাগজে একটা খবরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার সুযোগ খুঁজে পায় মেয়েটি। প্রতিযোগীতায় সফল হলে মিলবে নাসা যাওয়ার সুযোগ। নিজের মতো করে বাড়িতেই একাধিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করে জয়ালক্ষী। আর সেই কঠিন পরীক্ষায় সফলও হয়ে যায় সে।

আরও পড়ুন:একই জায়গা থেকে খাবার ভাগ করে খেয়ে সোশাল মিডিয়ায় ‘হিরো’ পুলিশ অফিসার

কিন্তু সমস্যা বাঁধে অন্য জায়গায়। নাসার প্রবেশদ্বার খোলা রয়েছে জয়ালক্ষীর জন্য। কিন্তু আমেরিকা পাড়ি দেওয়ার খরচ কে দেবে? কয়েকজন শিক্ষক আর তার সহপাঠীর সহযোগীতায় ও পাসপোর্ট অফিসারের আশীর্বাদে পাসপোর্ট হয়ে গেছে। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়। এরপর সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায় সে। ওএনজিসি এর কর্মচারীরা মিলে তার হাতে তুলে দেয় ৬৫,০০০ টাকা। এছাড়া জেলা শাসক সহ আরও বেশ কিছু জনের সহায়তায় ৬০,০০০ টাকার সাহায্য পায় মেয়েটি। তবে, এখনও প্রয়োজন ৭০,০০০ টাকা। জয়লক্ষী জানিয়েছেন, 'আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। যাঁরা আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য সাহায্য করছে। ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি টাকা পেয়ে গেলে ছুঁতে পারব নাসার মাটি'।

viral
Advertisment