দেশপ্রেমের পরিচয় দিতেই চোখেই আঁকলেন জাতীয় পতাকা। শিল্পীর এই কাণ্ড এখন তুমুল ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। অনেকেই শিল্পীর এমন কাণ্ডকারখানাতে অবাক হয়েছে সেই সঙ্গে অনেকের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন! হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টার পরই সমগ্র দেশবাসী সাক্ষী থাকতে চলেছে ইতিহাসের।
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যেই মেতে উঠেছে দেশ। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সূচনা করেন ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। সেই সঙ্গে ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট দেশজুড়ে পালিত হতে চলেছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা' অনুষ্ঠান। ভারতের সঙ্গে একই দিনে চলতি বছরে ব্রিটেনেও উড়বে ভারতের জাতীয় পতাকা। যুক্তরাজ্যে অনাবাসী ভারতীয়’র সংখ্যা প্রায় ১.৫ কোটি। যুক্তরাজ্যে অনাবাসী ভারতীয়দেরও ‘হর ঘর তিরঙ্গা' অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান হয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনরের তরফে।
আর এসবের মাঝেই দেশভক্তির অনন্য নিদর্শন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজের চোখে জাতীয় পতাকা এঁকে সকলের নজর কাড়লেন তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের এক শিল্পী। তার এহেন কাজের জন্য প্রচুর প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অনেকেই তার এই কাজকে বিপজ্জনক বলেও বর্ণনা করেছেন।
জানা গিয়েছে চোখের সাদা অংশে জাতীয় পতাকা এঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ভাইরাল হয়ে যান তিনি। তবে শুধুই কী দেশভক্তি নাকি এর পিছনেও রয়েছে মুহূর্তেই জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষ্য সেটাই এখন ভাবাচ্ছে নেটিজেনদের।
যদিও শিল্পীর কথায় “স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই তিনি তার চোখের সাদা অংশে জাতীয় পতাকা আঁকেন”। শিল্পী প্রথমে তেরঙ্গার একটি মিনিয়েচার ছবি এঁকেছেন। এরপর সেই ছবিটি নিজের ডান চোখে বসিয়েছেন। তবে তিনি অন্যদের একাজ থেকে বিরত থাকারও আবেদন জানিয়েছেন।
যদিও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কাজ অবশ্যই চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। তিনি জাতীয় পতাকা আঁকতে যে পদার্থগুলি ব্যবহার করেছিলেন তাতে অ্যালার্জি এবং চোখের চুলকানির মত সমস্যা হতে পারে।”
তবুও, ভারতীয় পতাকার প্রতি তার ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে। কোয়েম্বাটোরের বাসিন্দা ইউএমটি রাজা মিনিয়েচার আর্টিস্ট হিসাবে পরিচিত হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা নেহাতই কন নয়। সকলের মধ্যে দেশভক্তিকে ছড়িয়ে দিতেই অভিনব এই উপায় বেছে নেনে তিনি। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী কে করুণানিধির একটি মিনিয়েচার এবং কোভিড কালে সচেতনতা প্রচারে তার শৈল্পিক দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত।