কাজ করতেন টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (TCS)-এ। হটাৎ করেই চাকরি বদলের সিদ্ধান্ত নেন, শ্রীনিবাসন জয়রামন। আদতে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা জয়রামন পুরনো সংস্থা ছেড়ে নতুন সংস্থায় যোগদানের মধ্যে হাতে মাত্র সাতটা দিন পেয়েছিলেন। অন্য কেউ হলে হয়ত পরিবারের সঙ্গে এই সাতটা দিন ছুটি কাটিয়ে আসতেন, জয়রামন সেটা করেননি। মাঝের মাত্র সাতটা দিন তিনি Zomato-এ ডেলিভারি এজেন্ট হিসাবে কাজ শুরু করেন। টিসিএসের চাকরি ছেড়ে Zomato-এর ডেলিভারি বয়, সমাজের ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ উপেক্ষা করেন এই যুবক স্থির থাকেন তার লক্ষ্যে
Zomato-এর ডেলিভারি বয় হিসাবে কাজে যোগ দেওয়ার কয়েক দিনের মাথায় তিনি ডেলিভারি এজেন্টদের কিছু সমস্যাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হাইলাইট’ করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সংস্থাকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করে সেই সমস্যার কথা জানান। তিনি সেই পোস্টে লিখেছেন, "অনেক গ্রাহক মোবাইল নম্বর আপলোড করেন না। অনেক সময় গ্রাহক ডেলিভারির অবস্থান সঠিকভাবে উল্লেখ করেন না"।
পাশাপাশি তিনি লেখেন, "আমরা লোকেশনে নতুন হলে কখনও কখনও একটি রেস্তোঁরা খুঁজে পেতেও আমাদের সমস্যা হয়, অনেক ক্ষেত্রে Google Maps ব্যবহার করেও সেই রেস্তোঁরা খুঁজে পাওয়া আমাদের পক্ষে দূরহ হয়ে দাঁড়ায়। জয়রামন যোগ করেছেন যে এমন উদাহরণ রয়েছে যখন ডেলিভারি লোকেশন রেস্তোরাঁ থেকে অনেক দূরে। তাকে একবার অর্ডার দেওয়ার জন্য ১৪ কিলোমিটার রাস্তা বাইক চালিয়ে ছুটতে হয়েছিল। এটি ছিল তিন ঘন্টার মধ্যে তার তৃতীয় অর্ডার। যা নিয়ে আক্ষেপ করতে শোনা যায় জয়রামনকে। এর সঙ্গেই তিনি লেখেন, "পেট্রোলের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ডেলিভারি এজেন্টরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন"।
শেষে এই পেশাকে সম্মান জানিয়ে জয়রামন লিখেছেন, "অনেকেই ভাবেন ডেলিভারি বয়ের চাকরি অসম্মানজনক, এমনকি যখন আমি আমার পরিবারকে যখন বলেছিলাম তারা প্রথমে না’ই বলেছিল । তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। কোনো কাজ সহজ নয়। এবং কোন কাজই অসম্মানজনক নয়’। আমরা যা করছি তা যদি আমরা ভালবেসে করি তবে তাই হবে এই বিশ্বের সেরা কাজ। Zomato-র সকল ডেলিভারি বয়কে আমার সম্মান ও অভিবাদন।'