Advertisment

পড়ুয়াদের কাছ থেকে স্মার্ট ফোন পেয়ে পুড়িয়ে দিলেন এক শিক্ষিকা, ভিডিও ভাইরাল

ফোনগুলি যাতে পুড়িয়ে না দেওয়া হয় তার জন্য রীতিমতো শিক্ষকদের কাছে কাকুতি মিনতি করছে পড়ুয়ারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্মার্ট ফোন পেয়ে শুধুমাত্র আটকেই রাখলেন না সেগুলি একে একে পুড়িয়েও দিলেন।

স্কুল এবং কলেজের পড়ুয়ারা যারা নিয়ম ভঙ্গ করে বা নিজেদের খারাপ আচরণ করে, তাদের শিক্ষকরা হালকা শাস্তি দিয়েই শৃঙ্খলাবদ্ধ হন। আর সেই শাস্তির পিছনে থাকে একটাই উদ্দেশ্য, যাতে ভবিষ্যৎে ভুল কাজ করা থেকে তাদের রোখা যায়। তবে অনেক সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে, শিক্ষকরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন। আর তার কারণও সেই ভবিষ্যৎে এই ধরনের কাজ করা থেকে তাদের বিরত রাখা। ইদানিংকালে সবচেয়ে সাধারণ শাস্তির ঘটনাটি স্মার্টফোনের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা সাধারণত শিক্ষকরা কয়েক ঘণ্টা বা দিনের জন্য বাজেয়াপ্ত করে থাকেন। তবে সম্প্রতি এক শিক্ষক সম্প্রতি পড়ুয়াদের থেকে স্মার্ট ফোন পেয়ে শুধুমাত্র আটকেই রাখলেন না সেগুলি একে একে পুড়িয়েও দিলেন। এমন এক ঘটনা ভাইরাল হতেই তোলপার নেটদুনিয়া।

Advertisment

ইন্সটাগ্রামে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ফোনগুলি যাতে পুড়িয়ে না দেওয়া হয় তার জন্য রীতিমতো শিক্ষিকার কাছে কাকুতি মিনতি করছে পড়ুয়ারা। যদিও ইন্দোনেশিয়ার কোন অঞ্চলের স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট থেকে জানা গিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার একটি বোর্ডিং স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ভিডিও ভাইরাল হতেই দুভাগে ভাগ হয়ে যান নেটনিয়ার মানুষজন। অনেকেই মনে করেন ওই শিক্ষিকা একদমই ঠিক কাজ করেছেন অন্যদিকে আরেকদল মনে করেন ফোন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অন্যায়। এক ইউজার লিখেছেন, “এরা নামেই শিক্ষাবিদ। একটা খারাপ উদাহরণ স্থাপন করতে এরা দ্বিধা বোধ করে না। নিজেরা যদি কিছু করতে না পারি, তাহলে তা ধ্বংস করার কোনও অধিকার আমাদের নেই। তাঁরা এটি বাজেয়াপ্ত করতে পারত এবং তারপরে এক সপ্তাহ পরে শিক্ষার্থীদের কাছে ফোনগুলি ফেরত দিতে পারত।”অন্যদিকে অপর একজন লিখেছেন হয়তো বোর্ডিং স্কুল এর আগে অনেবার তিরস্কার করা হয়েছিল। তাতে কাজের কাজ না হওয়াই এই পন্থাই বেছে নিতে হয়েছে শিক্ষকদের। একমাত্র এই শাস্তিই পড়ুয়াদের স্মার্টফোনের প্রতি দুর্বলতা কমাতে পারে।”

smartphone teacher
Advertisment