নেশা চড়ছে স্যানিটারি ন্যাপকিনেও!

রির্পোট অনুযায়ী, স্যানিটারি প্যাড জলের মধ্যে ফোটালে, এর মধ্যে থাকা ক্লোরিন এবং বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশে যায়৷ এই মিশ্রণটি উত্তপ্ত করার ফলে মানুষের মধ্যে একপ্রকার ভ্রান্ত দর্শন এবং তীব্র নেশার অনুভূতি তৈরি হয়৷

রির্পোট অনুযায়ী, স্যানিটারি প্যাড জলের মধ্যে ফোটালে, এর মধ্যে থাকা ক্লোরিন এবং বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশে যায়৷ এই মিশ্রণটি উত্তপ্ত করার ফলে মানুষের মধ্যে একপ্রকার ভ্রান্ত দর্শন এবং তীব্র নেশার অনুভূতি তৈরি হয়৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্যানিটারি ন্যাপকিনও নেশার বস্তু! এমন কথা শুনেছেন কখনও? তবে আপনি না শুনলেও এটাই সত্যি! ইন্দোনেশিয়ায় এই হুজুগেই মেতেছেন টিনএজাররা। মদ-গাঁজাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন জলে সেদ্ধ করে সেই জল দিয়েই নেশা করছেন তাঁরা। সাম্প্রতিককালে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলি অন্তত এমনটাই বলছে। একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, এই নেশা করছে এমন বেশ কিছু টিনএজারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে জাভা থেকে৷ আটকদের থেকেই নেশা করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে প্রশাসন।

Advertisment

কীভাবে বানানো হচ্ছে এই নেশার দ্রব্যটি? উত্তরে সংবাদ মাধ্যমকে এক কিশোর জানাচ্ছে, প্রথমে স্যানিটারি ন্যাপকিনটিকে ৩০ মিনিট ধরে জলে ফোটানো হয়৷ তারপর, তা থেকে ভাল করে জল বের করে কনটেনারে ভরে রেখে দেওয়া হয়৷স্বাদে তেতো৷ ঠান্ডা হলে এরপর প্রায় সারাদিন ধরেই একটু একটু করে এই তেতো জল পান কর টিনএজাররা৷ জানা গিয়েছে, মূলত সস্তার নেশার প্রতি ঝোঁক থেকেই এই নেশার আসক্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।

আরও পড়ুন: বয়ফ্রেন্ডের মাংস হাড় পাঁজরে তৈরি বিরিয়ানি!

ন্যাপকিনের নেশা প্রসঙ্গে সে দেশের নারকোটিক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁদের আর্থিক অবস্থা একেবারেই খারাপ, মূলত তাঁরাই এই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে। আসলে ইন্দোনেশিয়ায় একেবারেই সস্তায় মেলে স্যানিটারি ন্যাপকিন। কাজেই এই সহজলভ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে তা দিয়ে নেশা করা বেশ সহজ।

Advertisment

ইন্দোনেশিয়া ন্যাশানাল ড্রাগ এজেন্সির (বিএনএন) রির্পোট অনুযায়ী, স্যানিটারি প্যাড জলের মধ্যে ফোটালে, এর মধ্যে থাকা ক্লোরিন এবং বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশে যায়৷ এই মিশ্রণটি উত্তপ্ত করার ফলে মানুষের মধ্যে একপ্রকার ভ্রান্ত দর্শন এবং তীব্র নেশার অনুভূতি তৈরি হচ্ছে৷ আর এতেই মজেছে ইন্দোনেশিয়ার তরুণ প্রজন্মের একাংশ৷ স্বাভাবিকভাবেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যে কপালে ভাঁজ পরেছে প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।