নেশায় বুঁদ চালক, প্ল্যাটফর্মে ঘন্টা খানেক অপেক্ষা যাত্রীদের, দেখুন ভিডিও

অনেকেই জানান, বিহারে এমন ঘটনা ঘটনা এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার।

অনেকেই জানান, বিহারে এমন ঘটনা ঘটনা এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মদের টানে ট্রেন থামিয়ে সুরার দোকানের সন্ধানে চললেন এক ট্রেন চালক।

নেশার টানে ট্রেন থামিয়ে মদের দোকানের সন্ধানে চললেন এক ট্রেন চালক। এই ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে যায় বিহারের এক স্টেশনে। দিন কয়েক আগেই বিহারের একটি স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে চা খেতে দেখে গিয়েছে ট্রেন চালককে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরালও হয়। এবার মদের নেশাতে আস্ত ট্রেন দাঁড় করিয়ে মদ্যপান করতে চলে গেলেন ট্রেন চালক। সমস্তিপুরের এই ঘটনা সামনে আসতেই তোলপাড় নেটদুনিয়া। যাত্রীরা গরমে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ট্রেনেই আটকে থাকেন। এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র অসন্তোষ।

Advertisment

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে হাসানপুর বাজারে কাছে দুরপাল্লার ট্রেনটি পৌঁছাতেই হর্ন বাজিয়ে ট্রেন থামান চালক। ট্রেন থেকে নেমে তিনি মদ খেতে যান। এদিকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গরমে অপেক্ষা করতে করতে অনেকে যাত্রীই নিজেদের বিরক্তি প্রকাশ করেন। শুরু হয় হট্টগোল। খবর যায় জিআরপিতে। এরপর জিআরপি এসে আশে পাশের দোকানে খোঁজ শুরু করলে দেখা যায়, স্থানীয় এক চায়ের দোকানে পায়ের ওপর পা তুলে নেশায় বিভোর ওই ট্রেন চালক। ঘটনার জেরে আটক করা হয় ওই চালককে। 

Advertisment

জানা গিয়েছে ওই চালকের নাম করমবীর প্রসাদ যাদব। আরও জানা যায় ট্রেনটি সবস্তিপুর থেকে সহরসা যাচ্ছিল। বিকেল ৫ টা বেজে ৪১ মিনিটে হাসানপুর বাজার স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছালে হটাৎ করেই সেটি দাঁড়িয়ে যায়। প্রথমে যাত্রীরা ভেবেছিলেন সিগন্যাল বিভ্রাট। কিন্তু অনেকক্ষণ পার হতেই খোঁজ করে দেখা যায় কেবিনে চালকই নেই। এরপরই খবর দেওয়া হয় জিআরপিতে। এই ঘটনায় রেলের তরফে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। অনেকেই জানান, বিহারে এমন ঘটনা ঘটনা এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার।

রেল সূত্রে খবর, রাজধানী এক্সপ্রেসকে আগে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সমস্তিপুর থেকে সহরসাগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে হাসানপুর স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, সেই সময়ের মধ্যে সহকারী চালক করণবীর যাদব ট্রেনের ইঞ্জিন ছেড়ে উধাও হয়ে যান। রাজধানী এক্সপ্রেস চলে যাওয়ার পরে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে সিগন্যাল দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই সময় ট্রেন না ছাড়ায় সহকারী স্টেশন মাস্টার বিষয়টি খোঁজ নিতে যান এবং তিনি হতভম্ব হয়ে যান। দেখা যায় স্টেশনের পাশেই একটি চায়ের দোকানে ওই ট্রেন চালক মদ্য পান করতে ব্যস্ত। ট্রেনের চালকের এমন কাণ্ড দেখে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা।