‘অর্থনীতিতে স্নাতক’ হয়েও চাকরি না পেয়ে এখন কলেজ গেটে চা বিক্রি করেন, ভাইরাল চা-ওয়ালি প্রিয়াঙ্কা। তার এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত ঝড় তুলেছিল। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় 'গ্র্যাজুয়েট চাইওয়ালি'র এই কাহিনী। সম্প্রতি সামনে এসেছে এমনই এক খবর যা ঘিরে নেটিজেনদের মনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। 'গ্র্যাজুয়েট চাইওয়ালি' নিজের স্বপ্নের সেই চায়ের দোকান বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নেই তোলপাড় নেটদুনিয়া।
প্রিয়াঙ্কা গুপ্তা, অর্থনীতি স্নাতক, চাকরি না পেয়ে পাটনার একটি মহিলা কলেজের বাইরে চায়ের স্টল খুলে সংবাদ শিরোনামে আসেন। সংবাদ সংস্থা ANI-কে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছে, "আমি ২০১৯ সালে আমার গ্রাজুয়েশন সম্পুর্ণ করেছি কিন্তু গত ২ বছরে একটা ও চাকরি না পেয়ে আমি ২০২১ সালে চায়ের দোকান খুলি। আমি প্রফুল্ল বিল্লোর ("এমবিএ চাইওয়ালা" নামে পরিচিত) থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই আমার এই চায়ের দোকান শুরু করি। চা’ওয়ালা তো অনেকে আছেন তা বলে কী সমাজে চাওয়ালি থাকতে পারে না?" তার গল্পটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই অনেকেই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। সর্বশেষ খবর অনুসারে জানা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কা তার বিখ্যাত চায়ের স্টল বন্ধ করতে চলেছেন। নেটিজেনদের মনে একটাই প্রশ্ন কেন?
'গ্র্যাজুয়েট চাইওয়ালি' গল্পটি অনেকের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। অনেকেই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে কোন এক ব্যক্তি খাবারের ব্যবসা করার জন্য কিছু আর্থিক সাহায্য করেন এই শর্তে তিনি তা মাসে মাসে মিটিয়ে দেবেন। এরপরই প্রিয়াঙ্কা তার স্টলকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিয়াঙ্কা বিভিন্ন স্বাদের চায়ের পাশাপাশি ‘স্ন্যাকস’ও এবার থেকে বিক্রি করবেন। তার জন্য দক্ষ কারিগর নিয়োগের সন্ধানে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। এই স্টলে চা পাওয়া যাবে ১০ থেকে ২০টাকার হরেক দামে হরেক ফ্লেভারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে নতুন স্টলটি কয়েক দিনের মধ্যেই এসে যাবে এবং তিনি এই নতুন ভাবে তার যাত্রা শুরু করবেন। এই নতুন উদ্যোগটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় যে কীভাবে একজন ব্যক্তি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।