৭৬ জন পড়ুয়াকে হুবহু একই রকম দেখতে। এই নিয়েই প্রবল বিপাকে পড়েছেন পাঞ্জাবের জলন্ধরে ডিএভি স্কুলের শিক্ষকরা। স্কুলে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৭০০। প্রথমবারের মতো স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীরা একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে একত্রিত হয়েছিল। তখনই শিক্ষকসহ স্কুলের পড়ুয়া সকলেই জানতে পারেন তাদের স্কুলে যমজ সন্তানের সংখ্যা।
Advertisment
আর সেই সংখ্যাটা শুনে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর অভিভাবকরাও এগিয়ে আসছেন তাদের যমজ সন্তানের স্কুলে ভর্তির বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে। পাঞ্জাবের জলন্ধরে ডিএভি স্কুলের এই কাণ্ড এখন তুমুল ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। সাধারণ ভাবে আমরা জানি এই পৃথিবীতে একই রকম মানুষের দেখতে অনেকেই রয়েছেন। একঝলক দেখে বোজার উপায় নেই দুজনকে আলাদা করে চেনার। কিন্তু ৭৬ জোড়া এমন পড়ুয়া রয়েছেন এই স্কুলে যাদের একজনের সঙ্গে অপরজনের চেহারায় রয়েছে বিস্তর মিল আর তাতেই বেজায় সমস্যায় পড়েছে স্কুলের শিক্ষকরা।
কাউকে হোমওয়ার্ক করতে দিলে পরের দিন হুবহু একই রকম দেখতে পড়ুয়ার থেকে হোমওয়ার্ক আদায় করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। রীতিমত সব কিছুই যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে শিক্ষকদের। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিজেদের কাহিনী জানিয়েছেন, কীভাবে একজনের ভুলের জন্য আরেকজন, শিক্ষকের কাছে বকা খেয়েছেন এবং শাস্তিও পেয়েছেন। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল রশ্মি ভিজ বলেছেন যে তিনি অনেকবার শিক্ষকদের কাছ থেকে এমন তাজ্জব ব্যাপার পরে যখন নিজের চোখে বিষয়টি দেখেন তিনিও অবাক হয়ে যান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ৭৬ জোড়া পড়ুয়ার মধ্যে এমন মিল যে তাদের আলাদা করে চেনা বড়ই দায়।