মাত্র ৯ বছর বয়সেই ক্যানসারে বাবাকে হারান। সেই থেকে ডিপ্রেশন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল দিব্যাকে। মা-মেয়ের কঠিন লড়াইয়ের শুরু সেই থেকেই। একাকীত্ব থেকে বাঁচার জন্য রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে দিব্যার গড়ে ওঠে এল নিবিড় বন্ধুত্ব। মাঝে মধ্যেই পথ কুকুরদের খাইয়ে তৃপ্তি পেতেন সেদিনের ছোট দিব্যা।
Advertisment
আজও সেই একই ধারা বজায় রেখে চলেছেন বছর ৩৬ এর দিব্যা পুরি। থাকেন দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে। পেশায় একজন অডিটর দিব্যার শখ রাস্তার কুকুরদের প্রতিদিন খাওয়ানো। সেই সঙ্গে আহত কুকুর, প্রাণীদের উদ্ধার করে তাদের চিকিৎসা করানোটাও দিব্যার একটা নেশা। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ কুকুরকে খাওয়ান তিনি।
২০১২ সাল থেকে একই ভাবে একাজ করে চলেছেন দিব্যা। যদিও শুরু বলতে সেই বাবার মৃত্যুর পর। পথ কুকুরদের দুবেলা খাওয়ানো সেই সঙ্গে তাদের পরিচর্যার জন্য গড়ে তুলেছেন পুরি ফাউন্ডেশন। মূলত বাবার মারা যাওয়ার পর থেকে মা’ই সেটি নিজের হাতে গড়ে তোলেন। মা-মেয়ে দুজনেই দায়িত্ব নিয়ে পথ কুকুরদের খাবারের ব্যবস্থা করতেন প্রতিদিন।
কিন্তু দিব্যার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মায়ের মৃত্যুর পর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় মা মেয়ের সংসারে আছড়ে পড়ল চরম বিপদ। মাত্র ১৩ দিনেই মাকে হারালেন দিব্যা। পু্রি ফাউন্ডেশনের প্রতিদিনের তালিকায় আজ থাকে ৭৫ কেজি চাল, ৪৫ কেজি মুরগির মাংস। ৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৪০০ কুকুরকে প্রতিদিন খাওয়ান দিব্যা।
লকডাউন চলাকালীন সময়েই রুটিনে ছেদ পড়েনি। দিব্যার মতো মানুষরা আজও সমাজের কাছে বড় উদাহরণ। হয়ত এঁদের মত গুটি কয়েক মানুষের মুখ চেয়ে থাকে রাস্তায় থাকা পথ কুকুরগুলো।