স্রেফ একটা ফোন কল! ফোনের ওপারে একটা ভারী কণ্ঠস্বর “আমি রতন টাটা বলছি”। তাতেই রাতারাতি ভাগ্য বদলেছিল শিল্পপতির। রতন টাটার মহানুভবতাকে সকলের কাছে তুলে ধরার জন্য লিঙ্কডিঙ্কে একটা পোস্ট করেন জৈব বর্জ্য চালিত 'মোবাইল ইলেকট্রিক চার্জিং ভেহিকল' চালু করেছে পুণের সংস্থা মোবাইল এনার্জি ডিস্ট্রিবিউশন স্টার্টআপ রেপোস এনার্জির প্রতিষ্ঠাতা অদিতি ভোসলে ।
তিনি তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন সংস্থা শুরুর সেরকম কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় আমি আর আমার স্বামী চেতন রতন টাটার সঙ্গে দেখা করার একটা পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা যে রীতিমত কঠিন, তা তাঁরা দিন কয়েকের মধ্যেই ঠাহর করতে পেরেছিলেন। একবার রতন টাটার সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাদের সব পরিচিতিকে কাজে লাগান তারা। এমনকী রতন টাটার বাড়ির বাইরে টানা ১০ ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। তবে তাতেও দম্পতির মন ভেঙে যায়নি। রতন টাটার সঙ্গে দেখা করতে তারা দুজনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। সংস্থার বিষয়ে বিশদ তথ্য এমন কর্মপদ্ধতি তুলে ধরে অদিতি একটি মেলও করেন রতন টাটাকে।
কিন্তু তাতেও কোন সাড়া না পেয়ে প্রায় হতাশ হয়েই যখন নিজেদের হোটেলে ফিরে আসেন তাঁরা তখন একটি ফোন কলস আসে। ফোন ধরতেই ওপারে ভারী কণ্ঠস্বর “ আমি রতন টাটা বলছি”। আপনার চিঠি পেয়েছেই, দেখা করতে পারি আপনার সঙ্গে”? প্রায় সারারাত ঘুমাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: < চপারে ঝুলে ওয়ার্ক আউটে বিশ্বরেকর্ড, ফিটনেসে মজে নেটপাড়া >
পরের দিন রতন টাটার সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সংস্থার বিষয়ে বিশদ তুলে ধরেন। প্রথম দফায় ২০১৯ সালে টাটা গোষ্ঠী অদিতির সংস্থায় বিনিয়োগ করেন। দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালে টাটা আবারও বিনিয়োগ করেন সেই সংস্থায়। রতন টাটার সাধারণ মানের জীবন যাপন বারে বারে এর এগে উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে তবে অচেনা এক উদ্যোগ পতির পাশে যে এভাবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি তা হয়ত আমাদের কারুর জানা ছিল না।