অনলাইন মিটিংয়ে ‘বসের’ তিরস্কার, ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড ব্যাঙ্ককর্তা  

বেসরকারি ব্যাঙ্ক ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বেসরকারি ব্যাঙ্ক ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
#NewsMo #viralvideo #toxicworkplace #kolkata #hdfc #harassment #bullyin

অনলাইন মিটিং চলাকালীন কর্মচারীদের অশালীন ভাষায় আক্রমণ। আর তার জেরেই সাসপেন্ড এক ব্যাঙ্ক কর্তা। অনলাইন মিটিং চলাকালীন অধস্তন কর্মচারীদের টার্গেট পূরণ না করায় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই ব্যঙ্ক কর্তা। এই ভিডিও দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্ক ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

Advertisment

সৌমি চক্রবর্তী নামে একজন ব্যবহারকারী লিঙ্কডইন-এ এই ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে টার্গেট পূরণ করতে না পারায় কর্মচারীদের সঙ্গে আশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছেন ওই ব্যঙ্ক কর্তা। এমনকী ভিডিওতে কর্মচারীদের গালিগালাজ করতেও শোনা যায় ওই আধিকারিককে। ব্যাঙ্কের কর্মীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। ভিডিওটি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের দ্বারা শেয়ার করার পরে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে ব্যাঙ্কের এক আধিকারিকের সঙ্গে কর্মীচারীদের মিটিংয়ে ধৈর্য্য হারিয়ে অধস্তন কর্মীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করতে দেখা যায় তাকে। যার জেরে সাসপেণ্ড করা হয়েছে ওই ব্যঙ্ককর্তাকে।    

ব্যাঙ্ক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে যে ব্যাঙ্ক বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে। পাশাপাশি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে কর্মক্ষেত্রে যে কোন ধরনের অসদাচরণের জন্য জিরো টরালেন্স নীতি মেনে চলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়েছে “আমরা মর্যাদা এবং সম্মানের সঙ্গে সকল কর্মচারীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিয়েছি”।

Advertisment

এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ব্যবহারকারী বলেছেন যে দেশে কঠোর শ্রম আইনের প্রয়োজন রয়েছে। অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন যে এই ধরনের বিষাক্ত আচরণ আজকাল বিভিন্ন সংস্থায় প্রচলিত হয়ে উঠেছে। "এটি সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি ছবি," বলেই উল্লেখ করেছেন এক লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী। অনেকেই দাবি করেছেন যে এই ধরনের নেতিবাচক আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। অপর একজন ব্যবহারকারী বলেছেন যে ভারতে কঠোর শ্রম আইনের প্রয়োজন, কারণ নেতৃত্ব প্রায়শই কর্মীদের মঙ্গল এবং একটি ইতিবাচক কাজের সংস্কৃতির পরিবর্তে সংখ্যা, মুনাফা এবং মূল্য বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেয়।

Viral Video