ফের ১১১ বছর পর আলোচনায় টাইটানিক। জানেন কী যাত্রীরা ডুবে যাওয়ার আগে কী খেয়েছিল? ভাইরাল হয়ে গেল জাহাজের 'মেনু', নিলাম উঠল ৮৫ লাখ টাকায়।
Advertisment
টাইটানিক বিপর্যয়ের ১১১ বছর পর আবারও আলোচনায় এসেছে এই জাহাজ। খাবারের মেনু ব্রিটেনে নিলামে তোলা হয়েছিল। তা নিলামে চড়ল ৮৫ লক্ষ টাকায়। দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে কী খেয়েছিলেন যাত্রীরা? মেন্যুতে একদিকে রয়েছে অয়েস্টার, স্যামন, বিফ, আবার অন্যদিকে স্কোয়াব, ডাক, চিকেন, পার্সনিপ পিউরি। শেষপাতে আবার রয়েছে ভিক্টোরিয়া পুডিং!
দুর্ঘটনায় 1500 জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনা নিয়ে ১৯৯৭ সালে নির্মিত ছবিটিও সারা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। টাইটানিক ডুবে গেছে ১১১ বছর। এখন আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় এসেছে টাইটানিক। তবে এবারের কারণ হল বিশেষ কিছু। টাইটানিকের খাবারের মেনু ব্রিটেনে ৮৫ লাখে নিলাম হয়েছে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে কী খেয়েছিলেন যাত্রিরা? TasteAtlas এই মেনুটি তার Instagram পেজে পোস্ট করেছে।
প্রথম শ্রেণীর লোকেদের মেনুতে ছিল বিফ, মশলাদার সবজি, গ্রিলড মাটন চপ, বেকড জ্যাকেট আলু, কাস্টার্ড পুডিংএর পাশাপাশি এই মেনুতে গাজর, বিটরুট এবং টমেটোও দেখা গেছে। ভাইরাল হওয়া মেনুতে ১৪ এপ্রিল, ১৯১২ তারিখটিও উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর মেনুতে ছিল মাছ, রুটি, মাখন, ফল, ভাজা ডিম, ভাজা আলু, চা এবং কফি। এছাড়া রাতের খাবারে তাদের স্যুপ, রুটি, ব্রাউন গ্রেভি, সস, মিষ্টি, ফল, সবজি, ভাত ও চা । দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীরা এমনকি জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে ক্রিসমাস পুডিং উপভোগ করেছিলেন।
মর্মান্তিক এই জাহাজ দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়াও শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হন। এই দুর্ঘটনাটি ১৪ এপ্রিল, ১৯১২ সালে ঘটেছিল। টাইটানিকের ধারণক্ষমতা ছিল ৩,৫০০ যাত্রী। জাহাজটিতে 4টি রেস্তোরাঁ, দুটি লাইব্রেরি, দুটি সেলুন এবং একটি সুইমিং পুল ছিল।
১৪-১৫ এপ্রিল রাতে, টাইটানিক সমুদ্রের একটি আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে। এই দুর্ঘটনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বলা হয়, জাহাজের ক্যাপ্টেন আইসবার্গের সতর্কতা উপেক্ষা করে গতি কমায়নি।