বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবলেই সকলেই একটা বিষয় আগে ভাগেই দেখে নেন, যে ফ্ল্যাট বা বাড়ি থেকে রেল স্টেশন, দোকান-বাজার, হাসপাতালের দুরত্ব কতটা? ট্রেন বা বাস থেকে নেমে হাঁটা পথে ফ্ল্যাটের দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হলেও ঝক্কি কম থাকায় কিছু বেশি টাকা দিয়েই মানুষ তা কিনতে স্বাচ্ছদ্য বোধ করেন।
কিন্তু কখনও ভেবেছেন আপনার ফ্ল্যাটের মাঝখান দিয়েই ট্রেন চলবে? আপনি কেবল ফ্ল্যাটের দরজা দিয়ে বেড়িয়েই ট্রেনের কামরায় প্রবেশ করতে পারবেন! বিষয়টি অবাক লাগলেও এমনই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে আ দেখে আপনি তাজ্জব হয়ে যাবেন। বহুতলের মাঝখান দিয়েই দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে ট্রেন। ভাবতেই পারেন গ্রাফিক্সের কামাল এটি। কিন্তু তা একেবারেই নয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কতটা এগিয়ে গিয়েছে তা এই ভিডিও না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন আবাসিক ফ্ল্যাটের মাঝখান দিয়েই চলছে দ্রুত গতির ট্রেন। প্রতিদিন ১৯ তলা ভবনের মাঝখান দিয়ে অনায়াসেই চলাচল করে ট্রেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আবাসিক ভবনের মাঝখান দিয়ে ট্রেনটি চলে যাচ্ছে। ঘটনাটি চিনের। যেখানে বছরের পর বছর ধরে এইভাবে ট্রেন চলাচল করলেও তাতে মানুষের কোন সমস্যা হচ্ছে না। বরং ট্রেন থেকে নেমেই বাড়িতে অনায়াসেই ঢুকে যেতে পারছেন বহুতলের বাসিন্দারা। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে ট্রেনটি বহুতলের ষষ্ঠ ও অষ্টম তলার মধ্য দিয়ে রোজ চলাচল করে।
যে ভিডিওটি ভাইরাল হচ্ছে তা পূর্ব চিনের একটি পাহাড়ি শহর চুনকিং এর, যার জনসংখ্যা কয়েক কোটি। শহর জুড়ে রয়েছে একাধিক বহুতল। রেলওয়ে ট্র্যাক তৈরির কাজ শুরু হলে দেখা যায় সেখানেই বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই ১৯ তলা বিল্ডিং। এই বহুতলে বহু মানুষ বসবাস করেন। সম্ভবত আমাদের দেশে এমন কোন সমস্যা সামনে এলে হয় রেলপথকে ঘুরিয়ে দেওয়া হত, না হয় বিল্ডিংটিকে ভেঙে ফেলা হত। চিনে তেমন কিছুই করা হয়নি। চিনের ইঞ্জিনিয়াররা বিস্ময়কর একটি কাজ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তামাম বিশ্ববাসীকে। তারা ভবনের ষষ্ঠ ও অষ্টম তলায় একটি ট্র্যাক তৈরি করেন। সেই ট্র্যাক দিয়েই রোজই দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে ট্রেন।
এই অনন্য ট্রেনের ভিডিওটি @TansuYegen সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। মেঝেগুলি এমনভাবে কাটা হয়েছে যাতে ট্রেনটি যাওয়ার কারণে কেউ কোনও সমস্যায় না পড়ে, অন্যদিকে এই বিল্ডিংয়ের নিজস্ব স্টেশনও রয়েছে যেখান থেকে আবাসিকরা সরাসরি ট্রেনের কোচে পৌঁছাতে পারেন। সাইলেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর শব্দও কম করা হয়েছে। ট্রেন গেলেও যে কোন ওয়াশিং বা ডিশ ওয়াশিং মেশিনের মতোই শব্দ হয়।