সময়ের সঙ্গেই লড়াই তুঙ্গে উঠেছে ইউক্রেনে। বাতাসে শুধুই বারুদের গন্ধ। ইউক্রেন সেনা এবং সাধারণ মানুষের মিলিত প্রতিরোধের মুখে পড়ে আরও বড় আকারে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের আট যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার। পালটা রাশিয়ার সাড়ে তিন হাজার সৈন্যকে হত্যার দাবি ইউক্রেনের। এসবের মাঝেই যুদ্ধ সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালীন লাইভ ফুটেজে নিজের বাড়ি ধ্বং স হয়ে যেতে দেখলেন এক মহিলা সাংবাদিক। যিনি দীর্ঘদিন ইউক্রেনে থেকে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কাজ করছেন।
Advertisment
ওলগা মালচেভস্কা তার সহকর্মী কারিন জিয়ানিওনের সাথে যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্তিতি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন সময়ে টেলিভিশনের পর্দায় লাইভ ফুটেজে দেখতে পান তার বাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে রুশ বাহীনি এবং তাতে করে বাড়িটি ধ্বংসাবশেষে পরিনত হয়েছে। এই দৃশ্য দেখে তিনি নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেন নি। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। তিনি তার সহকর্মীর উদ্দেশ্যে বলেন, “এই বিল্ডিংটি আমার বাড়ি।" "আমি যা দেখছি তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যেখানে আমি থাকতাম।"
সেই সঙ্গে তিনি বলেন আমি যখন এই স্টুডিওতে আসছি তখন আমি কল্পনাও করতে পারিনি স্থানীয় সময় ভোর তিনটের সময় আমার বাড়িতে বোম পড়বে। ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এবং অনেকেই ওই মহিলা সাংবাদিকের দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন।
যুদ্ধের দামামা, মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, পুলিশ–অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনের বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ভয়ের রূপ নিয়েছে এবং তাঁরা সুরক্ষিত জায়গার আশায় শহর ছাড়তে শুরু করেছেন। রাস্তা এবং সাবওয়েগুলিতে শুধুই মানুষের ভিড় এবং যারা শহরে বাস করতে পারছেন না তাঁরা আশ্রয় খুঁজছেন। মিসাইল হানা থেকে বাঁচার জন্য সকলেই বেছে নিয়েছেন মেট্রো স্টেশনগুলিকে।