New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/download-3-1.jpg)
অচেনা শিশুদের বর্ডার পার হতে সাহায্য করলেন এক ইউক্রেনীয় মহিলা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করে কুর্নিশ আদায় করেছেন তিনি।
অচেনা শিশুদের বর্ডার পার হতে সাহায্য করলেন এক ইউক্রেনীয় মহিলা।
ইউক্রেন জুড়ে ভয়ের আবহ। সংকটের মাঝেও মানবিকতার হাজারো ছবি ফুটে উঠছে সেই দেশজুড়ে। আর সেই তালিকায় নবতম সংযোজন এক ভাইরাল ভিডিও। অচেনা শিশুদের বর্ডার পার হতে সাহায্য করলেন এক ইউক্রেনীয় মহিলা। পৌঁছে দিলেন তাদের মায়ের কাছে। কৃতজ্ঞতায় আবেগে সেই মহিলাকে জড়িয়ে ধরে ধন্যবাদ জানালেন সেই মা। প্রাণে বেঁচে নিজের সন্তানদের আবার কাছে ফিরে পেয়ে কার্যত ভাষা হারিয়েছেন মায়েরা।
নাতালিয়া আবলেইভা (৫৮) নামের ওই মহিলা ইউক্রেন থেকে হাঙ্গেরির সীমান্ত অতিক্রম করেন। আর সেই যাত্রায় তাঁর সঙ্গী ছিল দুই অপরিচিত শিশু। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, নাতালিয়ার সঙ্গে তাঁর শহর কামিয়ানেতস-পোডিলস্কি-তে ৩৮ বছরের এক ব্যক্তির দেখা হয়। সেই ব্যক্তির সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক মেয়ে ও এক ছেলে।
দুই শিশুর বাবা নিজে দেশ ছাড়তে পারবেন না। কারণ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে ১৮ থেকে ৬০ বছরের পুরুষরা দেশরক্ষার জন্য থাকবেন। এমন পরিস্থিতিতে অচেনা মহিলা নাতালিয়াকে তিনি, তাঁর দুই শিশুকে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন।
A Ukranian mother reunites with her son & daughter on the Hungary border & hugs the stranger (in the yellow jacket) who brought them across border. Mother had been out of country & father couldn't cross border so stranger offered to take them to safety.
pic.twitter.com/TpbrWPcEwt— GoodNewsCorrespondent (@GoodNewsCorres1) February 26, 2022
ওই ব্যক্তির স্ত্রী তথা দুই শিশুর মা ইতালিতে থাকেন। ঠিক হয়, তিনি হাঙ্গেরির সীমান্তে আসবেন। সেখানে তাঁর হাতে শিশুদের তুলে দেবেন ওই মহিলা। নাতালিয়া ওই ব্যক্তির অনুরোধে রাজি হয়ে যান। তারপর দুই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁদের অভিভাবক হিসাবে ইউক্রেন-হাঙ্গেরির সীমান্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। অবশেষে দুই সন্তানকে ইউক্রেন-হাঙ্গেরির সীমান্তে তাদের মায়ের হাতে তুলে দেন নাতালিয়া। আবেগঘন এই ভিডিও ভাইরাল হতেই চোখের কোনে জল নেটিজেনদের। দুই সন্তানকে বাঁচাতে এক বাবার মরিয়া চেষ্টার মাঝে এসে হাজির হন এই মহিলা। তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন লাখ মানুষ। আর দুই সন্তানকে তাদের মায়ের কোল ফিরিয়ে দিতে পেরে বেজায় আপ্লুত তিনি নিজেও।