রাইফেলে গুলি ভরতেই জানেন না, নাক কাটা গেল যোগীরাজ্যের পুলিশের। দৃশ্য দেখে ‘গলদঘর্ম’ অবস্থা ডিআইজি আরকে ভরদ্বাজের। থানা পরিদর্শনে এসে রীতি চক্ষুচড়কগাছ পুলিশের বড় কর্তার। পিস্তল, টিয়ারগানের অস্ত্র চালানোর কোন প্রশিক্ষণই নেই দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের। এই দৃশ্য সামনে আসতেই যোগীরাজ্যে হুলস্থূল।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, ফাঁড়ির ইনচার্জ টিয়ারগান চালাতে জানেন না। বারবার চেষ্টা করেও তিনি ডিআইজির সামনে তিনি পিস্তল খুলতে পারেননি। গুলি ভরতে একেবারে নাস্তানাবুদ অবস্থা। থানার সাব ইনস্পেকটর নিজেও পিস্তলে গুলি ভরতে জানেন না। রাইফেলে গুলি কোথা থেকে ঢোকানো হয় তা কখনও স্বপ্নেও আসেনি তার। রাইফেলের নল দিয়েই গুলি ভরার চেষ্টা তাও আবার খোদ ডিআইজির সামনে। আর এই ঘটনা এখন রীতিমত ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ডিআইজি পরিদর্শন চলাকালীন তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিয়েছিলেন বন্দুকে গুলি ভরতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে হিমশিম খেলেন থানার সাব ইনস্পেক্টর। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের কোতয়ালি খলিলাবাদ থানা। দৃশ্য থেকে সকলের সামনে নিজের হাসি চাপা দিতে পারলেন না খোদ ডিআইজি। পাশাপাশি কঠোর প্রশিক্ষণের নির্দেশ দেন তিনি।
এমন ঘটনা চোখের সামনে দেখে প্রবল অস্বস্তিতে ডিআইজি। এই ঘটনার পর ডিআইজি বলেন, যা কিছু ত্রুটি দেখতে পাওয়া গেছে, সেসব ত্রুটি প্রশিক্ষণ বা মহড়ার অভাবের ফল। ভবিষ্যতে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তা পূরণ করা হবে। তিনি বলেন, পুলিশ কর্মীদের কঠোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।এই ঘটনার চরম নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছে সমাজবাদী পার্টি। তারা টুইটারে লিখেছে, বিজেপি সরকারে গরিব ও নিরপরাধদের হয়রানিকারী করতে পটু এদিনে পুলিশের এসআই বন্দুক ব্যবহার করতে জানে না, লজ্জাজনক।