হাত নেই, পা দুটোও নেই, তবুও মডেলিং করে আজ লাখ লাখ অনুরাগী। ২৬ বছরের এই তরুণীর নজরকাড়া কৃতিত্ব, মজে নেটপাড়া। লাখো ভক্ত! খ্যাতি, সম্মান কী নেই…! সমাজের সকল মহিলার কাছে এক উদাহরণ স্থাপন করেছেন ভিক্টোরিয়া সালসেডো নামের বছর ২৬ এর এক যুবতী।
জানা গিয়েছে জন্মের পর এক দুর্ঘটনায় বাদ যায় তার দুটি হাত। সেই সঙ্গে একটি পা’ও বাদ যায়। তবুও গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে তিনি নিজেকে এক আলাদা পরিচিতির জায়গায় নিয়ে গেছেন। মেয়েটির দুর্বলতাই তার সাফল্যের চাবিকাঠি। বিশ্বে ইতিমধ্যেই তার কোটি কোটি ফ্যান ফলোয়ার রয়েছেন। ছোট থেকেই কিছু করার খিদে, জেদ চেপে ধরেছিল ভিক্টোরিয়াকে। কখনও সাহস হারাননি তিনি।
ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিক্টোরিয়া সালসেডো মাত্র ৬ বছর বয়সে, ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।ফলে বাদ পড়ে দুটি হাত, একটি পা। ইকুয়েডরের এই যুবতী মাত্র ২৬ বছর বয়সেই রুপের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন তামাম বিশ্বকে। ইনস্টাগ্রামে এই মুহূর্তে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার।
ভিক্টোরিয়া বলেন,’ তিনি স্বাভাবিকভাবেই আর সকলের মত বাঁচতে চেয়েছিলেন। ছোট বেলায় দুর্ঘটনা তার জীবনকে পাল্টে দেন। ১৯ বছর বয়সে মডেলিং-এ হাতেখড়ি। সেদিনের পর ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা হয়ে ওঠে ভিক্টোরিয়া।
২০২১সালে, ভিক্টোরিয়া মিস ইকুয়েডর বিউটি কনটেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন যে তিনি এইভাবে তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছিলেন। ভিক্টোরিয়া তার সমস্ত কাজ শুধুমাত্র তার ডান পায়ের সাহায্যে করেন। চুল কাটা হোক, খাবার খাওয়া অথবা মেকআপ সবটাই তিনি করেন ডান পায়ের সাহায্যেই। ভিক্টোরিয়া তার কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে ওয়ার্কআউটও করেন। তিনি তার ভিডিও এবং তার জীবন দিয়ে সেই ব্যক্তিদের উত্সাহিত করতে চান, যারা কঠিন পরিস্থিতির শিকার।