New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/IMG-20200725-WA0002.jpg)
"এখন অশিক্ষিত লোকেরা রাজনীতিতে যোগ দেয়, আর উচ্চ শিক্ষিতরা ফল-সবজি বিক্রি করে।" তারপরেই ভাইরাল সেই ভিডিও। লাখ লাখ শেয়ার হয়েছে সংশ্লিস্ট এই ভিডিও।
পকেটে ডক্টরেট ডিগ্রি। আর কথা বলছেন নিখুঁত ইংরেজিতে। অবাক হওয়ার বিষয় নয় নিশ্চয়। তবে সেই ব্যক্তিই যখন রাস্তার পাশে ফল বিক্রি করতে বসে যান, তখনই অবাক লাগে। অদ্ভুত এমনই কান্ড ঘটল ইন্দোরে।
পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ ইংরেজিতে ক্ষোভ উগরে দিতে দিতে ইন্দোরের ফল বিক্রেতা রাইসা আনসারির ভিডিও এখন ভাইরাল। ইংরেজিতেই তাঁর দাবি, ইন্দোরের দেবী আহলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃৎবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে তাঁর।
স্থানীয় লোকের সঙ্গে কথা চালাতে গিয়ে তিনি বলছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ কীভাবে তার ফল বোঝাই ঠেলা গাড়ি সরিয়ে দিয়েছে। নিত্য হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয় তাদের মত ফল বিক্রেতাদের, তা-ও জানান তিনি।
দ্য থিংকিং এপ নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী সেই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, "এখন অশিক্ষিত লোকেরা রাজনীতিতে যোগ দেয়, আর উচ্চ শিক্ষিতরা ফল-সবজি বিক্রি করে।" তারপরেই ভাইরাল সেই ভিডিও। লাখ লাখ শেয়ার হয়েছে সংশ্লিস্ট এই ভিডিও।
Nowadays uneducated people are joining politics & educated ones R selling fruits & vegetables. Indore's "PhD" Vegetable Seller's Protest In English goes Viral !! pic.twitter.com/W8thIRTBKC
— The Thinking Ape???? (@Howzzda_Josh) July 23, 2020
রাইসা আনসারি বলছিলেন, তিনি রিসার্চ স্কলার। আর পুর কর্তৃপক্ষের হয়রানির ফলে সবজি আর ফল বিক্রেতারা উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। চোস্ত ইংরেজিতে রাইসার বক্তব্য, "এই সময়ে বাজারের একদিক বন্ধ। অন্যদিকের অংশও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্রেতারা আসছেন না। আমাদের পরিবারের ভরণপোষন কীভাবে চালাবো আমরা! আমি এখানে ফল-সবজি বিক্রি করছি। যারা এখানে রয়েছেন তারাও আমার পরিবার, আত্মীয় স্বজন। আমাদের ফ্যামিলিতে ২০জনেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। আমরা কীভাবে বাঁচবো? আমরা কি-ই বা উপার্জন করব! সবজির দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতার দেখা নেই। তার পরেই এই আধিকারিকরা বলছেন দোকান গুটিয়ে ফেলতে।"
কেন তিনি অন্য কোথাও চাকরির খোঁজ করেননি। রাইসা জানালেন, তিনি কোনো চাকরি পাননি।