আশ্চর্যজনক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, মিনিটের মধ্যে পাহাড়ে আটকে পড়া রোগীর কাছে পৌঁছে যাবে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, ‘অলৌকিক ঘটনা’র ভিডিও শেইয়ার করলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।
বিখ্যাত শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা প্রায়ই টুইটারে আকর্ষণীয় পোস্ট শেয়ার করে থাকেন। শনিবার, তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যা নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। এই ভিডিওটি ‘জেট স্যুট এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের’, যেটি ব্রিটেনে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি পাহাড়ে আটকে পড়া অথবা অসুস্থ মানুষকে বাঁচাতে খুব কার্যকর বলে প্রমাণিত।
‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ বিশ্বের জন্য একটি আশীর্বাদ, কয়েক ঘন্টার মধ্যে রোগীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। এটিতে ভেন্টিলেটর সহ সমস্ত চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে যা রোগীদের জীবন রক্ষা করে। কিন্তু সব জায়গায় পৌঁছানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের পক্ষে সহজ নয়। কারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য এয়ারস্ট্রিপ থাকা খুবই জরুরি। কিন্তু সব জায়গায় ‘বিমানবন্দর’ নেই, বিশেষ করে পাহাড়ে এই সমস্যা আরও বেশি। কারণ অ্যাম্বুলেন্সে গেলে সেক্ষেত্রে অনেক সময় লাগে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যা এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়ে সহজেই মুল্যবান জীবন বাঁচাবে। ভিডিওটি শেয়ার করার সময়, আনন্দ মাহিন্দ্রা এটিকে একটি ‘অলৌকিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
এই ভিডিওটি প্রথম @HowThingsWork_ থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা ছিল, পাহাড়ে আটকে পড়া অথবা অসুস্থ মানুষকে উদ্ধারের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস’ । দুর্গম এলাকায় যেখানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো অসম্ভব, সেখানে এটি রোগীদের জীবন রক্ষা করবে। এই ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ২৪ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে সহজেই চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে নিয়ে পাহাড়ে উড়তে। সে কয়েক মিনিটের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজেই পৌঁছে যায়। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়ে যে দূরত্ব আমাদের দেড় ঘণ্টার মতো লাগে তা মাত্র ৯০ সেকেন্ডে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে। ভিডিওটি শেয়ার করে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখেছেন, আরেকটি ভবিষ্যৎ গতিশীলতা । এটি অবশ্যই একটি দুর্দান্ত ডিভাইস। এই জেটস্যুট পাহাড়ে উদ্ধার অভিযানের পুরো পদ্ধতি পাল্টে দিতে পারে। এনডিআরএফকে ট্যাগ করে তিনি বলেছিলেন যে এটি পাহাড়ে উদ্ধারের জন্য ভবিষ্যতের সেরা প্রযুক্তি হতে পারে।