Advertisment

সোনা ভেবে উল্কাপিণ্ড বাড়িতে আনেন, দাম জেনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় ব্যক্তির

অনেকটা সোনার মতো দেখতে হওয়ায় তিনি সেটিকে তুলে পরম যত্নে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সোনা ভেবে এই উল্কাপিন্ড বাড়িতে আনেন ওই ব্যক্তি

সোনা ভেবে পাথর নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে, কয়েক বছর পর ‘দাম’ জেনে হতবাক অস্ট্রেলিয়ার এক বাসিন্দা। ২০১৫ সালে স্থানীয় এক পার্কে ঘুরতে গিয়ে তিনি হঠাৎ করেই পেয়ে যান এক টুকরো পাথর। একটু অন্য ধরনের পাথর দেখে তা নিয়ে আসেন তিনি। পাথর হলে কী হবে! এর দাম কত, তা আন্দাজ করাই মুশকিল। ওই ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে ওই পাথর যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন।

Advertisment

প্রথমে পাথরকে সোনা ভেবে ভুল করেই এত বছর ধরে নিজের কাছে আগলে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সোনা না পাওয়ায় বেজায় মন খারাপ নিয়ে তিনি সেই পাথর নিয়ে পৌঁছান মিউজিয়ামে। সেখানে তাকে বলা হয়। এটি সোনা নয়। শুনেই মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। তারপর মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞরা তাকে জানান, এটি হাজার বছরের পুরনো কোনও উল্কাপিণ্ড। এ কথা শুনে রীতিমতো হতচকিত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। পাথরের ওজন প্রায় ১৭ কেজি।

ডেভিড হোল নামের ওই ব্যক্তি মেলবোর্নের একটি পার্কে ২০১৫ সালে সেই পাথর পেয়েছিলেন, অনেকটা সোনার মতো দেখতে হওয়ায় তিনি সেটিকে তুলে পরম যত্নে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখেন। আসলে ১৯ শতকে এই জায়গা সোনার জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। সেজন্যই তিনি ওই পাথরকে সোনা ভেবে নিয়েছিলেন। অনেক সোনা পাওয়া যেত সেই স্থানে। বাড়িতে নিয়ে আসার পর তিনি অনেক চেষ্টা করেও ওই পাথর ভাঙ্গতে পারেননি। না পেরেও আশাতে তিনি সেই পাথরকে সযত্নে আগলে রেখে দেন।

এরপর তিনি মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যা শুনলেন তাতে তিনি পিলে চমকে ওঠেন। তাঁরা তাঁকে জানান এটি পাথর নয়। এটি বহু প্রাচীন এই উল্কাপিণ্ড। এর বয়স হতে পারে ১০০ থেকে ১০০০ বছর। ভূবিজ্ঞানী ডেটমোর হেনরি সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে জানান যে, তিনি তাঁর জীবনে কেবল দুটি উল্কাপিণ্ড দেখেছেন। তার মধ্যে এটি একটি। দুর্মূল্য এই পাথর সযত্নে রেখে দেওয়ায় প্রশংসায় জোটে ওই ব্যক্তির। এবং সোনার থেকেও দুর্মূল্য এই পাথর। যা শুনে বেজায় খুশি ডেভিড।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Gold Meteorite
Advertisment